X
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
১৬ আষাঢ় ১৪৩২

ঢাকা মেডিক্যালের কাছে হোটেল মালিকদের পাওনা ৪০ কোটি টাকা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২১ জুন ২০২১, ১৬:২১আপডেট : ২১ জুন ২০২১, ১৬:২১

করোনা মহামারির শুরু থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ  স্বাস্থ্যকর্মীদের কোয়ারেন্টিনের জন্য নির্ধারিত ৩০টি হোটেলের বিল বাকি রয়েছে ৪০ কোটি টাকা। আর এ বকেয়া টাকার জন্য ঢামেক হাসপাতালের প্রশাসনিক গেটের সামনে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএইচএ)। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, পদ্ধতিগত কারণে বিল দিতে বিলম্বিত হচ্ছে।

সোমবার ( ২১ জুন) বিআইএইচএ মানববন্ধন শেষে হাসপাতালের পরিচালকের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে।

সংগঠনটির কো-চেয়ারম্যান খালেদ-উর- রহমান মানববন্ধনে বলেন, ‘করোনার শুরু থেকে চুক্তি মোতাবেক  কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকা-খাওয়া বাবদ ৩০টি হোটেল নির্ধারিত হয়। কিন্তু এসব হাসপাতালে বকেয়া বিল রয়েছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা।  আর এ টাকার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ঘুরেও কোনও সুরাহা হয়নি।’

তাই তারা আজ মানববন্ধন করেন এবং স্মারকলিপি দেন বলে তিনি জানান।

মানববন্ধনে বলা হয়, গত বছরের জুলাই থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যালের কাছে প্রায় তিন মাসে ৪০ কোটি টাকা বিল বাকি রয়েছে।

আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এ বকেয়া বিল পরিশোধের জন্যও দাবি জানান তারা।

খালেদ-উর- রহমান বলেন, ‘গত প্রায় এক বছর ধরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সকল  তথ্য প্রমাণাদি সরবরাহ করা হলেও বিলের বিষয়ে কোনও সুরাহা হয়নি।

সংগঠনটির সহ-সভাপতি সাইদুল আলম বলেন, ’৩০ জুনের মধ্যে তাদের প্রাপ্ত বকেয়া বিল পরিশোধ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা করা হবে।’

এ বিষয়ে পদ্ধতি গত কারণে বিল দিতে বিলম্ব হচ্ছে জানিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, ‘আশা করছি, এ সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।’

হাসপাতালের উপ পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ জানান, গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসের বিল বকেয়া রয়েছে। তবে তাদের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় সবই তারা করেছেন। এখন বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের।’

একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি সেখানে অনেক রদবদল হয়েছে। নতুন কেউ  দায়িত্বে এলে তারও সবকিছু বুঝে নিতে দেরি হয়ে যায়। আর কেবল তাই নয়, একজন সচিব পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে পারেন। তার বেশি বরাদ্দ দিতে গেলে মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন লাগে, যার কারণে দেরি হচ্ছে।

ছবি: নাসিরুল ইসলাম

 

/এআইবি/জেএ/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মৃত্যু: ময়নাতদন্তে বিষক্রিয়ার সন্দেহ
৩ দাবিতে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীদের মানববন্ধন
ঢাকায় চিকিৎসায় এসে একই পরিবারের ৩ জনের রহস্যজনক মৃত্যু
সর্বশেষ খবর
জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়লো
জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়লো
এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ আজ থেকে শুরু
এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ আজ থেকে শুরু
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ
ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, বাদ পড়লো ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম
ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, বাদ পড়লো ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম
সর্বাধিক পঠিত
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
এইচএসসি পরীক্ষা দিতে গিয়ে নিখোঁজ ছাত্রী সাভারে উদ্ধার
এইচএসসি পরীক্ষা দিতে গিয়ে নিখোঁজ ছাত্রী সাভারে উদ্ধার
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
‘ইউ আর পেইড বাই দ্য গভর্নমেন্ট’
এনবিআর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অর্থ উপদেষ্টা          ‘ইউ আর পেইড বাই দ্য গভর্নমেন্ট’
ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস উপদেষ্টা আসিফ ও সাংবাদিক জুলকারনাইনের
ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস উপদেষ্টা আসিফ ও সাংবাদিক জুলকারনাইনের