X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা মেডিক্যালের কাছে হোটেল মালিকদের পাওনা ৪০ কোটি টাকা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২১ জুন ২০২১, ১৬:২১আপডেট : ২১ জুন ২০২১, ১৬:২১

করোনা মহামারির শুরু থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ  স্বাস্থ্যকর্মীদের কোয়ারেন্টিনের জন্য নির্ধারিত ৩০টি হোটেলের বিল বাকি রয়েছে ৪০ কোটি টাকা। আর এ বকেয়া টাকার জন্য ঢামেক হাসপাতালের প্রশাসনিক গেটের সামনে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএইচএ)। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, পদ্ধতিগত কারণে বিল দিতে বিলম্বিত হচ্ছে।

সোমবার ( ২১ জুন) বিআইএইচএ মানববন্ধন শেষে হাসপাতালের পরিচালকের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে।

সংগঠনটির কো-চেয়ারম্যান খালেদ-উর- রহমান মানববন্ধনে বলেন, ‘করোনার শুরু থেকে চুক্তি মোতাবেক  কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকা-খাওয়া বাবদ ৩০টি হোটেল নির্ধারিত হয়। কিন্তু এসব হাসপাতালে বকেয়া বিল রয়েছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা।  আর এ টাকার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ঘুরেও কোনও সুরাহা হয়নি।’

তাই তারা আজ মানববন্ধন করেন এবং স্মারকলিপি দেন বলে তিনি জানান।

মানববন্ধনে বলা হয়, গত বছরের জুলাই থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যালের কাছে প্রায় তিন মাসে ৪০ কোটি টাকা বিল বাকি রয়েছে।

আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এ বকেয়া বিল পরিশোধের জন্যও দাবি জানান তারা।

খালেদ-উর- রহমান বলেন, ‘গত প্রায় এক বছর ধরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সকল  তথ্য প্রমাণাদি সরবরাহ করা হলেও বিলের বিষয়ে কোনও সুরাহা হয়নি।

সংগঠনটির সহ-সভাপতি সাইদুল আলম বলেন, ’৩০ জুনের মধ্যে তাদের প্রাপ্ত বকেয়া বিল পরিশোধ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা করা হবে।’

এ বিষয়ে পদ্ধতি গত কারণে বিল দিতে বিলম্ব হচ্ছে জানিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, ‘আশা করছি, এ সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।’

হাসপাতালের উপ পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ জানান, গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসের বিল বকেয়া রয়েছে। তবে তাদের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় সবই তারা করেছেন। এখন বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের।’

একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি সেখানে অনেক রদবদল হয়েছে। নতুন কেউ  দায়িত্বে এলে তারও সবকিছু বুঝে নিতে দেরি হয়ে যায়। আর কেবল তাই নয়, একজন সচিব পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে পারেন। তার বেশি বরাদ্দ দিতে গেলে মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন লাগে, যার কারণে দেরি হচ্ছে।

ছবি: নাসিরুল ইসলাম

 

/এআইবি/জেএ/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সাকিব আল হাসানকে দেখতে ছাদে উঠে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিক্ষার্থী আহত
খিলগাঁওয়ে রিকশাচালকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বকশিবাজার মোড়ে বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত
সর্বশেষ খবর
পিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালে ডর্টমুন্ড
চ্যাম্পিয়নস লিগপিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালে ডর্টমুন্ড
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
সর্বাধিক পঠিত
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট