বিদেশি বাহিনীর আফগানিস্তান ত্যাগের ডামাডোলে দেশটিতে আরও প্রভাব বেড়েছে তালেবানের। একের পর এক এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে দলটি। মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদে এ নিয়ে কথা বলেছেন আফগানিস্তান বিষয়ক জাতিসংঘ দূত দেবোরা লিয়নস। তিনি বলেন, গত মে মাস থেকে ৩০টিরও বেশি জেলার দখল নিয়েছে তালেবান। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান সংঘাত অন্য অনেক দেশে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দেবোরা লিয়নস নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, এই বছরের গোড়ার দিকে বিদেশি সেনাদের আফগানিস্তান ত্যাগের ঘোষণা ছিল যেন একটি ভূমিকম্পের আঘাত।
তিনি বলেন, সম্প্রতি তালেবান যেসব জেলাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেগুলোর অবস্থান প্রাদেশিক রাজধানীর পাশেই। তার মানে দাঁড়াচ্ছে, বিদেশি বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহার হয়ে গেলে তালেবান এই রাজধানীগুলো দখলের জন্য অবস্থান নিয়েছে।
দেবোরা লিয়নস বলেন, রাজনীতি, নিরাপত্তা, শান্তি প্রক্রিয়া, অর্থনীতি, মানবিক জরুরি অবস্থা এবং অবশ্যই কোভিড মোকাবিলার প্রচেষ্টা; সব জায়গায় নেতিবাচক প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে কিংবা স্থবিরতা বিরাজ করছে। সামনে আরও মারাত্মক পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে।
এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মার্কিন বাহিনীর আফগানিস্তান ত্যাগের ডেডলাইন এখনও বহাল রয়েছে। তবে এর গতি পরিবর্তন হতে পারে।
এরইমধ্যে আফগানিস্তান থেকে অর্ধেক সেনা দেশে ফিরেছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। মার্কিন সামরিক উপস্থিতি কমে যাওয়ার বাস্তবতায় গত এক মাসে ৩০টিরও বেশি জেলার নিয়ন্ত্রণ নিতে সমর্থ হয় তালেবান। এসব এলাকায় থাকা সরকারি বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সামরিক সরঞ্জামের মালিকানা পায় তারা। সূত্র: রয়টার্স।