X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

এই বছরই ইরাক ছাড়বে মার্কিন বাহিনী

বিদেশ ডেস্ক
২৭ জুলাই ২০২১, ০৩:০৬আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২১, ১৮:২১
image

এই বছরের শেষ নাগাদ যুদ্ধরত মার্কিন বাহিনী ইরাক ছেড়ে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যদিও এই সময়ের পর ইরাকের সামরিক বাহিনীকে প্রশিক্ষণ এবং উপদেশ দেওয়া চালিয়ে যাবে মার্কিন সেনাবাহিনী। হোয়াইট হাউজে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল-খাদিমির সঙ্গে বৈঠকের পর এই ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট-এর অবশিষ্টাংশ মোকাবিলায় স্থানীয় বাহিনীকে সহায়তা দিতে বর্তমানে ইরাকে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। যুদ্ধরত সেনা তুলে নেওয়া হলেও ইরাকে প্রায় একই সংখ্যক মার্কিন সেনাই থেকে যাবে। তবে যুদ্ধরত সেনা সরিয়ে নেওয়াকে ইরাকি প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

গত বছর ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি এবং ইরান সমর্থিত একটি শিয়া গোষ্ঠীর নেতাকে হত্যার পর থেকে ইরাকে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে। রাজধানী বাগদাদে এক ড্রোন হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করে মার্কিন বাহিনী। এ ঘটনার পর ইরান সমর্থিত রাজনৈতিক দলগুলো ইরাক থেকে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বিদেশি সেনাদের প্রত্যাহারের দাবি তোলে।

ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার মাধ্যমে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের শুরু করা আরেকটি যুদ্ধের অবসান ঘটালেন জো বাইডেন। এ বছর তিনি আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

হোয়াইট হাউজে আলোচনার সময় বাইডেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘আমরা এই নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করলেও আমাদের সন্ত্রাস দমন সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’ জবাবে আল খাদিমি বলেন, ‘আজ আমাদের সম্পর্ক যেকোনও সময়ের চেয়ে জোরালো। আমাদের সহযোগিতা অর্থনীতি, পরিবেশ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং আরও বহু কিছুতে।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরাকে কোনও যুদ্ধরত বিদেশি সেনার প্রয়োজন নেই।

২০০৩ সালে প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেনকে উৎখাত এবং তার ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র ধ্বংসের অজুহাতে ইরাকে আগ্রাসন শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিদেশি বাহিনী। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ‘স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণ ইরাকের’ প্রতিশ্রুতি দিলেও দেশটি নিমজ্জিত হয় রক্তক্ষয়ী সাম্প্রদায়িক বিভাজনে।

২০১১ সালে যুদ্ধরত মার্কিন বাহিনী ইরাক ছেড়ে যায়। তবে ইরাক সরকারের অনুরোধে তিন বছর পরে আবারও দেশটিতে প্রবেশ করে তারা। ওই সময়ে দেশটির একটি বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণ শুরু করে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট। ২০১৭ সালে আইএসের পতন ঘটলেও গোষ্ঠীটির অবশিষ্টাংশ নির্মূলে দেশটিতে থেকে যায় মার্কিন বাহিনী।

/জেজে/এমওএফ/
সম্পর্কিত
প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে নিজেকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, গ্রেফতার ১
স্থায়ী সংঘাতে পরিণত হচ্ছে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা: তুরস্ক
সিরীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ইসরায়েলের হামলা
সর্বশেষ খবর
প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে নিজেকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, গ্রেফতার ১
প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে নিজেকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, গ্রেফতার ১
ইরান হামলা বন্ধ করলেও ছায়াশক্তিরা সক্রিয়
ইরান হামলা বন্ধ করলেও ছায়াশক্তিরা সক্রিয়
খিলগাঁওয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
খিলগাঁওয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
এই জন্মদিনে আরেক সিনেমার ঘোষণা
এই জন্মদিনে আরেক সিনেমার ঘোষণা
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!