তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমিক ও কর্মীরা। লকডাউনের মধ্যে শনিবার থেকে বিভিন্ন যানবাহন ব্যবহার করে এবং পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেন তারা। এ অবস্থায় শ্রমিকদের ভোগান্তি কমাতে রবিবার (১ আগস্ট) একদিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। তবে ঢাকা-ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্পট ঘুরে দেখা যায় বাসসহ অন্যান্য গণপরিবহনে শ্রমিক-কর্মীদের চেয়ে সাধারণ যাত্রীই বেশি ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কারখানা খুলে দেওয়ার কথা শুরু হলে শুক্রবার রাত, শনিবার দিন ও রাতে বেশিরভাগ পোশাক শ্রমিকরা কর্মস্থলের আশপাশে চলে আসেন। পরে রবিবার সকালে বাস চালু হওয়ায় সড়কের কোনও কোনও স্থানে গণপরিবহন থেকে পোশাক শ্রমিকদের উঠানামা করতে দেখা গেছে। অনেকে এদিনও পিকাপভ্যান ও ইঞ্জিনচালিত ভ্যান, ব্যাটারি এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা দিয়েও গন্তব্যে পৌঁছেছেন।
তবে গণপরিবহনে শ্রমিক-কর্মীদের চেয়ে সাধারণ যাত্রীই বেশি ছিল বলে বিভিন্ন পরিবহনের কর্মীরা জানিয়েছেন।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার ও শনিবারেই বেশিরভাগ কর্মী কারখানা এলাকার আশপাশে চলে আসেন। রবিবার তাই চাপ কম। তবে গণপিরবহন চলাচল শুরু করায় সাধারণ যাত্রীরাই বেশি আসছেন।
তারা আরও অভিযোগ করেন, গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এ কারণে বেশিরভাগ শ্রমিক-কর্মী ট্রাক-পিকআপভ্যানের মাধ্যমে স্বল্প খরচে গন্তব্যে পৌঁছাতে চেষ্টা করেছেন। এ কারণেও গণপরিবহনে শ্রমিক-কর্মীদের তুলনায় সাধারণ যাত্রী বেশি ছিল।
এদিকে সকাল সাতটা থেকে গাজীপুরের বিভিন্ন শিল্প কারখানার গেট দিয়ে দীর্ঘ লাইনে শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রবেশ করতে দেখা গেছে। তবে এসব জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব যথাযথভাবে মানতে দেখা যায়নি। শুরুর দিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানায় প্রবেশ করলেও, বেশি সংখ্যক কর্মী একসঙ্গে প্রবেশ শুরু করলে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অবস্থা দেখা যায়নি।