X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

‘কোনও বাড়ি রেহাই পায়নি’, মিয়ানমারের গ্রামে সেনাদের তাণ্ডব

বিদেশ ডেস্ক
১৩ অক্টোবর ২০২১, ০৮:০০আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২১, ১৪:১৯

অং সান সু চি'র সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে মিয়ানমারের সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন, লুটপাট, বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে সামরিক বাহিনী। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও সেনাদের তাণ্ডবের খবর আসছে। তেমনই গত মাসের শেষ দিকে দেশটির সাগাংই অঞ্চলের অনেক বাসিন্দাদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয় সেনারা।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের উনবে ইন গ্রামে প্রায় দেড়শ সশস্ত্র সেনা প্রবেশ করে। আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান শত শত বাসিন্দা। সেনারা চলে যাওয়ার দু’দিন পর ফিরে আসে গ্রামবাসী। এসে ধ্বংসযজ্ঞ দৃশ্য দেখতে পায় তারা। দোকানপাট, ঘর-বাড়ি সব কিছু তছনছ করে দিয়ে গেছে জান্তা।

ওই গ্রামেরই এক বাসিন্দা বলেন, ‘একটি ঘরও সেনাদের হামলা থেকে বাদ যায়নি। তারা প্রতিটি বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করেছে। এমনকি টেলিভিশনও গুঁড়িয়ে দিয়েছে। অন্যান্য জিনিসের মধ্যে ৩০টি সেলাই মেশিন নষ্ট করে দিয়েছে’।

দোকানে লুটপাট ও ভাঙচুর চালানোর পরের চিত্র

উয়ানবে ইন-এ ৩২০টি বাড়ি আছে। গ্রামবাসীরা গত (৩ অক্টোবর) ফিরে এসে হতবাক হয়ে যায়। সেনাদের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে যাওয়াদের মধ্যে তিনভাগের দুইভাগই ফিরে এসেছেন।

খবরে জানা গেছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের উয়ানবে-ইন'তে সাধারণ মানুষের বাড়ি-ঘর টার্গেট করে নির্বিচারে বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটির বিমান বাহিনী। অন্যান্য অঞ্চলেও একইদিন বোমা হামলা পরিচালনা করে। স্থানীয়দের তথ্যমতে, বিমান থেকে ১০টি বোমা ভূমিতে ফেলা হয়। কিন্তু এর আগেই গ্রামবাসীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।

সম্প্রতি জান্তা সরকার কাচিন, সাগাংই এবং চীন রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। এক বাসিন্দা বলেন, ‘এলাকায় কি ঘটছে এখানকার গ্রামবাসীরা কিছুই জানতে পারছে না। আমরা সেনাদের মিথ্যা তথ্য পেয়ে উদ্বিগ্ন’।

গত পহেলা ফেব্রুয়ারি অং সান সু চিকে গৃহবন্দি করার পর আন্দোলন শুরু হয়েছে। সু চির মুক্তি এবং সামরিক সরকারকে ক্ষমতা ছাড়ার দাবিতে দিন দিন আন্দোলন জোড়ালো হচ্ছে দেশটিতে। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে হাজারো মানুষ নিহত হয়েছেন। এ অবস্থায় জান্তা সরকারকে একাধিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ যুক্তরাষ্ট্রও।

/এলকে/
সম্পর্কিত
ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর মোটরসাইকেল বহরে বোমা হামলা
‘বাবার কিছু হয়ে গেলে কেউ কি ফিরিয়ে দিতে পারতো?’
মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে আহত বাংলাদেশি ২ জেলে
সর্বশেষ খবর
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
৩ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না কয়েকটি এলাকায়
৩ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না কয়েকটি এলাকায়
জাবির সিনেট ও সিন্ডিকেট প্রতিনিধি নির্বাচন: বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের নিরঙ্কুশ জয়
জাবির সিনেট ও সিন্ডিকেট প্রতিনিধি নির্বাচন: বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের নিরঙ্কুশ জয়
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক