নয়াপল্টনে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ

সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হামলাকারী শনাক্ত করছে পুলিশ

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকা থেকে গত মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে পুলিশের দিকে ঢিল ও ককটেল ছোড়ার সাথে জড়িত অনেককেই শনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে আর কারা জড়িত জানতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এরই মধ্যে অনেক বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিএনপি'র প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে ককটেল। এছাড়া উদ্ধার করা হয় চালের বস্তা, পানির বোতল এবং নগদ টাকা।

পুলিশ বলছে, আশেপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবং আশপাশ থেকে আর কারা পুলিশের ওপর ঢিল এবং ককটেল ছুড়েছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া পুলিশকে শারীরিকভাবে কারা আঘাত করেছে, কারা হামলায় জড়িত- এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে অনেকের নাম পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই এসব বলা সম্ভব হচ্ছে না। তদন্তের পর দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেকেই অভিযোগ করেছেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে উদ্ধার করা ককটেল পুলিশের সাজানো। তারা নিজেরাই ককটেল নিয়ে এসে পরে কার্যালয় থেকে উদ্ধার দেখিয়েছে।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, পুলিশ ককটেল নিয়ে প্রবেশ করবে এটি একটি অযাচিত কথা। জনগণের সামনে পুলিশকে হেয় করার জন্য এটি এক ধরনের মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়।

পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা এবং পুলিশ সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে অভিযান পরিচালনা করতে বাধ্য হয় পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে- বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ককটেল এবং নাশকতা সৃষ্টির জন্য অনেক এক্সপ্লোসিভ থাকতে পারে। কোনও রাজনৈতিক দলের কার্যালয় থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ- পৃথিবীর কোনও সংস্কৃতিতে পড়ে না। রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ককটেল থাকবে তা অকল্পনীয়।

এ ব্যাপারে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, পুলিশের ওপর আক্রমণ করে কেউ টিকে থাকতে পারবে না- এটি পুলিশের পক্ষ থেকে একটি পরিষ্কার মেসেজ। পুলিশের ওপর যিনি আক্রমণ করবেন তার পারিপার্শ্বিক কোনও বিষয় বিবেচনা করা হবে না- তিনি অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবেন।

বিএনপি'র সদস্যরা হেলমেট পড়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে উল্লেখ্য করে ডিএমপি গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল এবং ককটেল বিস্ফোরণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আমরা অনেককে গ্রেফতার করেছি।

আরও পড়ুন-