X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিদ্যুতের দাম বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন বিকালে

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:১৪আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:৫৮

বিদ্যুৎ

বিদ্যুতের দাম নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় সংবাদ সম্মেলন করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। তবে দাম বাড়বে কিনা এখনই জানাতে চাননি প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, সংবাদ সম্মেলন থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।

গত বছরের অক্টোবরে বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য পরিবর্তনের আবেদন করে পিডিবি। গত ২৩ অক্টোবর তারা এই আবেদন কমিশনের কাছে জমা দেয়। বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাবে পিডিবি বলছে, ২০২০ সালে বিদ্যুৎ বিক্রি করে আয় হতে পারে ৩৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। কিন্তু ওই সময় প্রয়োজন হবে ৪৫ হাজার ২০৮ কোটি টাকা। ফলে বাকি আট হাজার ৬০৮ কোটি টাকা পূরণের জন্য মূল্য সমন্বয় করতে কমিশনকে অনুরোধ করে পিডিবি।

এরপর, গত বছরের ২৮ নভেম্বর বিতরণ কোম্পানিগুলোর বিদ্যুৎ দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি শুরু করে কমিশন। সেসময় চার দিনব্যাপী এই শুনানি হয়।

এখন প্রতি ইউনিট পাইকারি বিদ্যুতের গড় দাম ৪ টাকা ৮৭ পয়সা। কমিশনের শুনানিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সুপারিশ করেছে, এবার পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানো যেতে পারে ৯৩ পয়সা। অর্থাৎ কমিশনের কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ মেনে নিলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের পাইকারি দর হবে ৫ টাকা ৮০ পয়সা। এর সঙ্গে সঞ্চালন চার্জ আরও ৬ দশমিক ৯২ ভাগ মূল্য সমন্বয় করা হলে দাম আরও বাড়বে। এই অর্থের পুরোটা পাসথ্রু হিসেবে খুচরা পর্যায়ে পাঠানোর সঙ্গে যোগ হবে বিতরণ চার্জ। এই চার্জ যোগ করেই কমিশন খুচরা বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করবে। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত শুনানিতে আসা প্রস্তাব এবং মূল্যায়ন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, খুচরা বিদ্যুতের সর্বোচ্চ দাম হতে পারে ৭ টাকা ২৬ পয়সার মতো। যদিও সরকার ভর্তুকির অঙ্ক ঠিক না করা পর্যন্ত এর সঠিক পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বেশিরভাগ শুনানির পর বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। তবে কখনও কখনও পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়নি। ২০১০ সালের ১ মার্চ গ্রাহক পর্যায় ৬ দশমিক ৭ ভাগ বেড়েছিল। সেবার পাইকারিতে বাড়েনি। ২০১১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গ্রাহক পর্যায় ৫ ভাগ এবং পাইকারিতে ১১ ভাগ বেড়েছিল। ২০১১ সালের ১ আগস্ট গ্রাহক পর্যায়ে বাড়েনি। তবে পাইকারিতে ৬ দশমিক ৬৬ ভাগ বাড়ানো হয়। ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর গ্রাহক পর্যায়ে ১৩ দশমিক ২৫ ভাগ এবং পাইকারিতে ১৬ দশমিক ৭৯ ভাগ বাড়ানো হয়। ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর গ্রাহক পর্যায়ে ১৫ ভাগ এবং পাইকারিতে ১৭ ভাগ, ২০১৫ সালের ১ আগস্ট গ্রাহক পর্যায়ে ২ দশমিক ৯৩ ভাগ বাড়ানো হয়। সেবার পাইকারিতে বাড়েনি। এরপর সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর গ্রাহক পর্যায়ে ৫ দশমিক ৩ ভাগ বাড়ানো হয়। সেই সময়ও পাইকারিতে বাড়েনি।

বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো না-বাড়ানো সরকারের ভর্তুকির ওপর নির্ভরশীল। সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে কতটা ভর্তুকি দিতে সম্মত হবে, তার হিসাবে দামের অঙ্ক নির্ধারণ করা হবে। তবে উৎপাদন পর্যায়ের অর্ধেক ভর্তুকি দিলেও প্রস্তাবের অর্ধেক বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো হবে।

বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি শুনানির দময় বলেছে, পিডিবি যে ঘাটতির কথা বলছে, তা সমন্বয় করতে ইউনিট প্রতি ৯৩ পয়সা বাড়ানো প্রয়োজন। সরকার যে পরিমাণ ভর্তুকি দেবে তা বাদ দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বাকি অর্থ গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া হতে পারে।

 

/এসএনএস/এএইচ/
সম্পর্কিত
দুই দফা অভিযানেও খোঁজ মেলেনি শিশুটির
খিলগাঁওয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
সর্বশেষ খবর
এলপিএলের ড্রাফটে চার বাংলাদেশি
এলপিএলের ড্রাফটে চার বাংলাদেশি
মাদ্রাসা ক্যাম্পাস সবুজায়নের নির্দেশ
তীব্র তাপপ্রবাহমাদ্রাসা ক্যাম্পাস সবুজায়নের নির্দেশ
যুবদল সভাপতি কারাগারে, রিজভীর নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল
যুবদল সভাপতি কারাগারে, রিজভীর নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল
ইন্ডিয়া আউট কর্মসূচি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেবে ১২ দলীয় জোট
ইন্ডিয়া আউট কর্মসূচি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেবে ১২ দলীয় জোট
সর্বাধিক পঠিত
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ