X
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪
২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

গবেষণায় শ্রমিকপ্রতি বছরে ৫০০ টাকারও কম ব্যয় হয়: সিপিডি

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২২ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:৫৭আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:৫৭

গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যয় করতে চায় না। বেশিরভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠান বছরে শ্রমিকপ্রতি ৫০০ টাকারও কম ব্যয় করে। রবিবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে ‘টেকনোলজি ইউজ ইন দ্য ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সংলাপে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি)  গবেষণা ফেলো সৈয়দ ইউসুফ সাদাত এতে  মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, ‘শিল্প খাতে উচ্চ প্রযুক্তির ব্যবহারের জন্য ভালো মানের গবেষণা ও উদ্ভাবন প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর এ খাতে ব্যয় করার প্রবণতা খুব কম। ওষুধ, চিকিৎসা ও রাসায়নিকের মতো কয়েকটি শিল্প ছাড়া বেশিরভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠান বছরে শ্রমিকপ্রতি ৫০০ টাকারও কম ব্যয় করে।’

সৈয়দ ইউসুফ সাদাত বলেন, ‘শিল্প প্রতিষ্ঠানের আকারের ভিত্তিতে দেখলে এই পরিস্থিতি আরও স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। আমাদের দেশের বড় শিল্পের মাত্র ৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগ করেছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে এই বিনিয়োগ যথাক্রমে ২ ও ১ শতাংশ। বিষয়টি আমাদের শিল্প খাতের জন্য অশনিসংকেত।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ। এখন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ না করলে ও ভালো মানের গবেষণা না হলে আমরা পিছিয়ে পড়ব। এখনও অনেক ক্ষেত্রে সঠিক বিনিয়োগ হচ্ছে না। বৈদেশিক বিনিয়োগ সেভাবে আসছে না। অনেক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সরকারি মালিকানার কয়েকটি শিল্প বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। কারণ, প্রযুক্তি দরকার। বেসরকারি খাতে গেলে এটা ভালোভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’

শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দায়িত্ব নিতে হবে। অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যা পড়াচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কিন্তু দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হলে শিক্ষায় ছাড় দেওয়া যাবে না। প্রযুক্তিনির্ভর একটা শিল্প কাঠামো গড়ে তুলতে দক্ষ জনবল প্রয়োজন। বাংলাদেশিরা অনেক দ্রুত শিখতে পারে। আমাদের অনেক সম্ভাবনা আছে। কিন্তু সমস্যা একটাই—অসহনশীলতা। সব সময় আরও চাই, আরও চাই।’

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য শিল্প খাতে উচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে যেভাবে বিপ্লব হয়ে যাচ্ছে, তাতে এর সঙ্গে তাল মেলাতে না পারলে আমরা পিছিয়ে পড়বো। বিষয়গুলো নিয়ে অনেক কথা হলেও আশানুরূপ উন্নতি হচ্ছে না। এক তৈরি পোশাক খাত ছাড়া রফতানির ক্ষেত্রে বলার মতো কোনও খাত নেই। আবার পোশাক খাতেও যে আমরা খুব ভালো প্রযুক্তির ব্যবহার করতে পারছি, তাও না।’

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিএমসিসিআই) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, ‘মেগা প্রকল্পে যেসব প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহার হয়েছে বা এখনও হচ্ছে, তার ছিটেফোঁটা কাজ যদি দেশের কোম্পানিগুলো পেতো, তাহলে এখানকার কোম্পানিগুলো দাঁড়িয়ে যেত। বলছি না যে, বিদেশ থেকে প্রযুক্তি আনা যাবে না। তবে এসব প্রকল্প যখন শুরু হয়, তখন চুক্তিতে ন্যূনতম ৬০ শতাংশ স্থানীয় মূল্য সংযোজনের শর্ত দেওয়া উচিত ছিল। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য ব্লকচেইন, আইওটির মতো বিষয়ে জাতীয় নীতিমালা প্রয়োজন। ডাটা প্রাইভেসি আইনকে দ্রুত আলোর মুখ দেখাতে হবে।’

 

/জিএম/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
চামড়া খাতে ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা প্রস্তাব
রিকশাচালকদের ছাতা বিতরণ করলেন মেয়র আতিক
‘গরমে অসুস্থ’ হয়ে মারা যাওয়া সেই শ্রমিকের পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসন
সর্বশেষ খবর
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নিহত বৈমানিক আসিম জাওয়াদের পরিবারের সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নিহত বৈমানিক আসিম জাওয়াদের পরিবারের সাক্ষাৎ
দাঁড়িয়ে থাকা যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন
দাঁড়িয়ে থাকা যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন
বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝরনায় ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝরনায় ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
এই দিনে ফিরে এসেছিলেন শেখ হাসিনা
এই দিনে ফিরে এসেছিলেন শেখ হাসিনা
সর্বাধিক পঠিত
সিলেটে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
সিলেটে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
ফুল দিয়ে বরণ, রিট দিয়ে শুরু কোন্দল!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিফুল দিয়ে বরণ, রিট দিয়ে শুরু কোন্দল!
এমপিও আবেদন সরাসরি অধিদফতরে পাঠানো যাবে না
এমপিও আবেদন সরাসরি অধিদফতরে পাঠানো যাবে না
এডিপি: সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে যে ১০ প্রকল্প
এডিপি: সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে যে ১০ প্রকল্প
জাহাজে ওঠার পর কোরআনের সুরা শুনিয়ে দস্যুদের নিবৃত্ত করা হয়
জাহাজে ওঠার পর কোরআনের সুরা শুনিয়ে দস্যুদের নিবৃত্ত করা হয়