X
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
১৯ বৈশাখ ১৪৩২

ইহসান: ইসলামের সৌন্দর্য

গুঞ্জন রহমান
১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:০১আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:০১

আরবি ভাষায় খুব চমৎকার একটা শব্দ আছে – ইহসান। প্রচলিত অর্থে আমরা ইহসান বা (উর্দু/ফার্সি) এহসান বলতে পরোপকার বুঝি। কিন্তু ইহসান শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ, উৎকর্ষের নিদর্শন, শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা। আরবি হুসন শব্দের অর্থ সৌন্দর্য, যা থেকে ইহসান কথাটা এসেছে। মুসলমানদের ধর্ম অর্থাৎ আদ-দ্বীন-এর তিনটি মাত্রা বা তিন রকমের প্রকাশভঙ্গি: ইসলাম, ইমান এবং ইহসান। এর মধ্যে-

এক. ইসলাম মানে হলো স্বেচ্ছায়, নিঃশর্তভাবে আল্লাহর নিকট নিজেকে সমর্পিত করা এবং তাঁর আদেশ অনুসারে ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ, অর্থাৎ কালিমা, নামাজ, রোজা, জাকাত ও হজ আদায় করা;

দুই. ইমান মানে আল্লাহ পাকের ওপর নিরঙ্কুশভাবে বিশ্বাস স্থাপন করা, যার অর্থ ছয়টি মূল বিষয়ে অটল বিশ্বাস স্থাপন। যে ছয়টি বিষয়ে ইমান আনতে হবে, সেগুলো হলো:

ক. এক এবং অদ্বিতীয় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ,

খ. তাঁর সৃষ্ট ফেরেশতাগণ,

গ. তাওরাত যাবুর ইঞ্জিল ও কুরআনসহ আল্লাহ পাকের রচিত ও প্রেরিত সকল ঐশী গ্রন্থ,

ঘ. তাঁর প্রেরিত রাসুলগণ, যাঁদের মধ্যে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ হলেন হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা.),

ঙ. রোজ কেয়ামত ও

চ. শেষ বিচার, যেখানে ভালো ও মন্দ কাজের জন্য প্রতিফল ভোগ করতে হবে প্রত্যেককে, যা আল্লাহ্ পাকের বিধান হেতু, বান্দার এড়ানো উপায় নেই;

আর,

তিন. ইহসান হলো আল্লাহ পাকের ইবাদত, যা এমনভাবে আদায় করা, যেন ইবাদতকারী তাঁকে দেখতে পাচ্ছেন, অন্তত আল্লাহ পাক স্বয়ং তো নিশ্চয়ই ইবাদতকারীকে দেখতে পাচ্ছেন। আর সে কারণেই, ইহসানের ব্যবহারিক অর্থ হলো – সৎকর্ম করা বা ভালো কাজ করা, যার দ্বারা আল্লাহ পাকের সৃষ্টি উপকৃত হয়। আর এখান থেকেই ইহসান কথাটা দিয়ে পরোপকার বোঝানো শুরু হয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে, ইহসান করা মানে অন্যের ভালো করা নয়, বরং এটা নিজেরই ভালো করা। কারণ, আল্লাহ পাক যেসব দায়িত্ব দিয়ে মানুষকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, সেগুলো সঠিকভাবে, সততার সাথে পালন করতে পারা তো আসলে নিজের কাজটাই ঠিকঠাকমতো করতে পারার কৃতিত্ব। ইহসান হলো, এই দায়িত্বগুলো পালন করার প্রক্রিয়া। তাই ইহসানের প্রাথমিক বহিঃপ্রকাশ হলো– চিন্তায়, সদিচ্ছায়। যাকে বলে নিয়ত। একজন যখন কোনও সৎকর্ম করতে চান, যার ফলাফলের দ্বারা নিজের এবং অন্যের উপকার হবে এবং যে কাজটি করার সময় নিজের উপকারের চেয়ে অন্যের উপকারকে তিনি প্রাধান্য দেন, তখনই তাঁর ইহসান শুরু হয়ে যায়। কিন্তু কাজটির দ্বারা তিনি নিজের লাভের আশা বেশি করলে তা আর ইহসান থাকলো না, কারণ তখন ওই কাজের সৌন্দর্য নষ্ট হলো। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক।

আমার পরিবারসহ এলাকার অনেক পরিবারে পানির কষ্ট দেখা দিয়েছে। আমার ইচ্ছে করছে সবার উপকার করতে, সবার পানির কষ্ট দূর করতে। আমি নিয়ত করলাম, একটা টিউবওয়েল স্থাপন করে পানির কষ্ট দূর করবো। আমার ইহসান শুরু হয়ে গেলো নিয়ত করা থেকেই। কিন্তু আমার পক্ষে একটাই টিউবওয়েল কেনা সম্ভব, ফলে আমি সেই টিউবওয়েলটি কিনে আমার বাড়ির ভেতরে দেয়ালঘেরা উঠানে স্থাপন করলাম। আমার যুক্তি হলো, আমার পরিবারের নারী সদস্যরা বাড়ির বাইরে গিয়ে সবার সামনে পানি সংগ্রহ করবে – এটা ঠিক হবে না, তাই টিউবওয়েল বাড়ির ভেতরে স্থাপন করাই উত্তম। কিন্তু এতে করে আমার পরিবারের বাইরে আর কেউ সেই টিউবওয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করতে পারছে না, পানি নিতে হলে তাদের আসতে হবে আমার বাড়ির ভেতরে, আমার উঠান থেকে পানি সংগ্রহ করতে হবে। তাহলে তো আর এর দ্বারা ইহসান করা হলো না। কেননা, কাজটির সৌন্দর্য রক্ষা করা গেলো না। আমি কেবল আমার পরিবারের কথা ভাবলাম, অন্য পরিবারগুলোর কথা ভাবলাম না। আমার পরিবারের বাইরে আরও যাদের পানির চাহিদা আছে, তারাও যাতে পানি নিতে পারেন, সেই জন্য যদি আমি টিউবওয়েলটি বাড়ির বাইরে স্থাপন করতাম, তাহলে তার দ্বারা সবাই উপকৃত হতেন। পাশাপাশি কাজটির সৌন্দর্য প্রকাশ পেতো। এর নামই ইহসান। কারণ, ইহসান বলছে – তুমি এমনভাবে তোমার নিজের প্রয়োজন মেটাও, যেন তুমি অন্য সকলেরই অংশ। সবার থেকে নিজেকে আলাদা করে নিয়ে নিজের প্রয়োজন মেটানো– এটা একটা কুৎসিত প্রক্রিয়া। এটা কিছুতেই ইহসান হতে পারে না।

ইহসান যিনি করেন, তাঁকে বলা হয় মুহসিন।

প্রথাগত ধার্মিক মুসলিমদের নিকট ধর্মের প্রকাশভঙ্গি ইসলাম। তাত্ত্বিক মুসলিমদের নিকট এটি ইমান। এবং সুফিদের নিকট ইহসান। তিনটি ক্ষেত্রেই ধর্ম বা দ্বীনের মূল বিষয়গুলো একই, কেবল প্রকাশভঙ্গিতে যা সামান্য পার্থক্য। ইসলাম যেভাবে ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভ মেনে চলার ওপর জোর দেয়, তার দ্বারা ইহসানের সকল শর্তই পূরণ হয়। আবার ইমানদার যেভাবে ছয়টি ভৌত বিষয়ের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেন, তা করতে গেলে ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ না মেনে উপায় নেই। অপরদিকে সুফিবাদ যেভাবে পরোপকার বা সমাজের সকলকে নিয়ে ভাবতে বলে – সেটাও ইসলামের পাঁচ স্তম্ভেরই নামান্তর। তাই প্রকাশভঙ্গি বা ব্যাখ্যায় যা পার্থক্য, মূল বিষয় আসলে একই।

ইহসানকে বলা হয় ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত। ইহসান হলো কোনও ব্যক্তির ব্যক্তিগত আমল বা কর্মের এবং সামাজিক দায়িত্ব পালনের শ্রেষ্ঠত্বের বহিঃপ্রকাশ। যেমন, কেউ একাগ্রচিত্তে নামাজ আদায় করছেন, নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহ্ পাকের প্রতি এতটাই সমর্পিত হয়েছেন যে ওই মুহূর্তে তাঁর চারপাশে কী ঘটছে সে সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণাই নেই – এই নামাজ আদায়কে বলা হবে ইহসান, তিনি তাঁর নিজের প্রতি ইহসান করলেন। কেউ তাঁর নিজের চেয়ে পিতামাতার, পিতামাতার চেয়ে গোটা পরিবারের এবং পরিবারের চেয়ে প্রতিবেশীদের স্বার্থকে বেশি এগিয়ে রাখছেন এবং তা নিঃস্বার্থভাবেই – এই আচরণকে সর্বশ্রেষ্ঠ ইহসান বলা হবে। কেউ প্রকৃতপক্ষেই কারো প্রতি ভালোবাসা, দয়া বা মায়া অনুভব করছেন, তাঁর নিজের অজান্তেই ওই ব্যক্তির ভালো চেয়ে অন্তর থেকে দোয়া করলেন, দোয়া করার সময় অগ্র-পশ্চাত কিছুই ভাবলেন না, ওই ব্যক্তির পরিচয়টুকু পর্যন্ত জানতে চাইলেন না– এটাই ইহসান। সত্য উচ্চারণে পিছপা হচ্ছেন না কেউ, তার জন্য নিজের বা নিজের মানুষের প্রাণ যায় যাক– এই ব্যক্তি সবচেয়ে শক্তিশালী মুহসিন।

ইহসান হলো প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব। কোন দায়িত্ব? দায়িত্ব হলো– নিজের কাজটি সঠিকভাবে করা, সামান্যতম খুঁত তাতে না রাখা, সামান্যতম ফাঁকি না দেওয়া, যাতে তাঁর ওই ফাঁকির জন্য অন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হন। দায়িত্ব হলো, স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে প্রার্থনা করা এবং যেভাবে আল্লাহ্ পাক প্রার্থনা করতে বলেছেন, তাতে সামান্যতম আপস না করা।

ধরুন, আমার ওপর জাকাত ফরজ হয়েছে। আমি আমার সম্পত্তি ও সম্পদ হিসাব করে দেখলাম, আমাকে মোট দশ তোলা সোনা জাকাত হিসেবে দিতে হবে, অথবা সমপরিমাণ অর্থ বা অন্য সম্পদ। আমি হিসাব করে দেখলাম, আমি যদি সোনার মানে কিছুটা গরমিল করি, বাইশ ক্যারেট সোনার পরিবর্তে আঠারো ক্যারেট বা সনাতন পদ্ধতির (ভাংরি) সোনা জাকাত হিসেবে দিয়ে দিই, তাহলে খরচ অনেক কমে আসে। আমি জাকাতের বিধান পালন করলাম ঠিকই, কিন্তু সেই সাথে বেশ কিছু টাকাও বাঁচাতে পারলাম। এটা ইহসান নয়। আমি ফাঁকি দিলাম। আমার আল্লাহকে তো আর ফাঁকি দিতে পারবো না, ফাঁকি দিলাম আমি নিজেকেই।

আবার ধরা যাক, আমার ওপর ন্যস্ত জাকাতের পরিমাণ পাঁচ লক্ষ টাকা। আমি সেই টাকায় পাঁচশ’ টাকা দরের এক হাজার শাড়ি/লুঙ্গি ইত্যাদি কাপড় কিনে এক হাজার মানুষের মধ্যে বিতরণ করলাম। ওই এক হাজার কাপড় একসঙ্গে কেনার জন্য বেশ কিছু ছাড়ও পেলাম। ছাড়ের টাকা দিয়ে আমি সামিয়ানা ভাড়া করা, মাইকিং করা, পোস্টার ছাপানো ইত্যাদির খরচ মেটালাম। এক হাজার মানুষকে ঠিকঠাক মতো কাপড় দিতে পারলাম, সবাই আমার জন্য দোয়া করতে করতে কাপড় নিয়ে ঘরে ফিরে যেতে থাকলো। এলাকায় খুব নাম হলো, বিরাট দানবীর হিসেবে আমার সুনাম ছড়িয়ে পড়লো। এই সুনামকে কাজে লাগিয়ে আমি মসজিদ কমিটির প্রধান হলাম, স্থানীয় স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হলাম, পরের নির্বাচনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর হয়ে গেলাম, এবং এক সময় এমপি ও মন্ত্রী হওয়ার রাস্তা পরিষ্কার করে ফেললাম। কিন্তু ওই এক হাজার মানুষ পাঁচশ’ টাকা দামের একটি কাপড় কয়েক মাস পরলো, তারপর আবারও কোথাও জাকাত-সদকার লাইনে দাঁড়ালো, হয়তো পদপিষ্ট হয়ে মারাও গেলো তাদের কেউ কেউ। ... প্রকৃতপক্ষে এটা না হলো জাকাত আদায়, না হলো ইহসান। বরং ওই যে আমার জাকাতের লাইন থেকে ঠিকঠাক ঘরে ফিরলেও আরেকজনের জাকাতের লাইনে গিয়ে লোকটি পায়ের নিচে চাপা পড়ে মারা গেলো, তার দায়ও খানিকটা আমার ওপর বর্তায়।

কারণ, মহানবী (সা.) বলছেন, তুমি কাউকে দান করতে চাইলে এমনভাবে করো, যেন এরপরে তার আর হাত পাততে না হয়। আমি যদি এক হাজার জনকে পাঁচ লাখ টাকা ভাগ করে না দিয়ে পাঁচ জনকে ভাগ করে দিতাম, তারা প্রত্যেকে এক লাখ টাকা করে হাতে পেয়ে তা দিয়ে ব্যবসা করতে পারতো, বা অন্য কোনোভাবে সেই পুঁজি খাটিয়ে নিজেরা স্বাবলম্বী হতো, পরের বছর হয়তো আরও পাঁচ জনের দায়িত্ব তারাই কাঁধে তুলে নিতে পারতো। যে লোকটি পদপিষ্ট হয়ে মারা গেলো, সে যদি আমার কাছ থেকে এক লাখ টাকা পেতো, আর কোনোদিনই হয়তো সে খয়রাতি সাহায্য নিতে লাইনে দাঁড়াতো না, পদপিষ্ট হওয়ারও ঝুঁকি থাকতো না।

জাকাত আসলে দরিদ্রকে দেওয়া যতটা দরকার, তার চেয়ে বেশি দরকার দারিদ্র্যকে দেওয়া। সওয়াবের আশায় দরিদ্রকে ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে থাকতে দিয়ে বছর বছর দান করার চেয়ে তার দারিদ্র্য দূর করে দিয়ে আমৃত্যু সেই ব্যক্তির কৃতজ্ঞতার দোয়া থেকে অনেক বেশি সওয়াব আশা করা যায়। আর ইহসান হচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে সেই আশাটুকুও না করে কাজ করে যাওয়া। ইহসানকে নিজের কাজ এই জন্যই বলা হয়, যেন সেই কাজ থেকে কোনও প্রতিফলের আশা কেউ না রাখতে পারে।

‘আমি তোমার জন্য করলাম’ মানেই আমি তোমার কাছ থেকে ন্যূনতম একটি ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতার আশা রাখি। অর্থাৎ, সেটা না পেলে ভবিষ্যতে আমি তোমার জন্য নাও করতে পারি। মানে দাঁড়ালো, আমি স্বার্থপরের মতো তোমার জন্য করেছি। এবং তা করেছি বলে, এক ধরনের অহঙ্কার আমার মধ্যে তৈরি হয়েছে। এটা ইহসান নয়। ইহসান হলো, আমি নিজের জন্য করলাম, তাতে তুমি উপকৃত হলে নাকি হলে না, তা আমি দেখতেই যাবো না। আমাকে আমার সৃষ্টিকর্তা এটা করতে বলেছেন, তাই আমি করেছি, না করলে সৃষ্টিকর্তা অসন্তুষ্ট হবেন বলে নয়, বরং করলে আমার নিজেরই ভালো হবে, নিজের কাজটা করে ফেলা হবে, একটা দায়িত্ব পালন করা হবে– এই জন্য করেছি। তার দ্বারা যদি তুমি উপকৃত হয়ে থাকো, তাহলে ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতা জানাও সৃষ্টিকর্তাকে। কারণ, আমি তো তোমার জন্য করিইনি, আমি কেবল তাঁর আদেশ পালন করেছি। অর্থাৎ তোমার জন্য কেউ যদি করে থাকেন, তো প্রকৃতপক্ষে তোমার সেই উপকারটা করেছেন সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং, আমাকে এই কাজটা করার জন্য আদেশ করে। – এরই নাম ইহসান।

বর্তমান করপোরেট দুনিয়ায় ইহসানের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক কোন কাজটি জানেন? সিএসআর – করপোরেট সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটি। ইসলাম, ইমান ও ইহসান – এই তিনটির চেতনার ওপরেই সবচেয়ে বড় আঘাতের নাম সিএসআর। ‘শৈবাল দীঘিরে বলে উচ্চ করি শির/ লিখে রেখো এক ফোঁটা দিলেম শিশির!’ – এই হলো সিএসআরের মূলমন্ত্র। এটি সর্বোতভাবে একটি বাণিজ্যিক কার্যক্রম। অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে সুনাম অর্জনের অত্যন্ত নিন্দনীয় একটি চর্চা, যাকে প্রায়ই ‘ব্র্যান্ডিং’ করা হয় ইহসান বলে, কিন্তু আদতে ইহসানের ওপর সবচেয়ে বড় হুমকির নামই সিএসআর।

লেখক: কবি, প্রাবন্ধিক, গীতিকার ও উন্নয়ন গবেষক।

[email protected]

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
ডি ব্রুইনার গোলে তিনে ম্যানসিটি
ডি ব্রুইনার গোলে তিনে ম্যানসিটি
‘কর্মীদের আর্থিক নিরাপত্তা ছাড়া গণমাধ্যম স্বাধীন হবে না’
মুক্ত গণমাধ্যম দিবস‘কর্মীদের আর্থিক নিরাপত্তা ছাড়া গণমাধ্যম স্বাধীন হবে না’
খিলগাঁওয়ে পৃথক ঘটনায় দুই শিশুর মৃত্যু
খিলগাঁওয়ে পৃথক ঘটনায় দুই শিশুর মৃত্যু
রাজধানীতে মোটরসাইকেল ধাক্কায় পথচারী নিহত, আহত স্বামী-স্ত্রী
রাজধানীতে মোটরসাইকেল ধাক্কায় পথচারী নিহত, আহত স্বামী-স্ত্রী
সর্বশেষসর্বাধিক