খাগড়াছড়িতে শিশুশিক্ষার্থী আবির হোসেনকে (৮) পিটিয়ে হত্যার মামলায় অভিযুক্ত মাদ্রাসাশিক্ষক আমিনুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আরিফুল ইসলাম জানান, তাকে সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে চট্টগ্রামের চাঁটগাও আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি বলেন, ‘ঘৃণ্য এই হত্যাকাণ্ডে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে মামলা করেন হতভাগ্য শিশুর বাবা সারোয়ার হোসেন। মামলার পর পুলিশের তিনটি টিম কাজ শুরু করে। অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে ঘাতক শিক্ষক।’
এর আগে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে আবিরকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। সে পানছড়ির আইয়ুবনগর এলাকার সরোয়ার হোসেনের ছেলে।
আবিরের চাচা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘একমাস আগে ভাতিজাকে খাগড়াছড়ি সদরের ভুয়াছড়ি রাজশাহী টিলা এলাকার বায়তুল আমান ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়। রবিবার সন্ধ্যায় আবিরের বাবা আমাকে হাসপাতালে আসতে বলেন, এসে দেখি আমার ভাতিজা আর বেঁচে নেই। ঘাতক শিক্ষক আমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
আবিরের খালু নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আবিরকে মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখে ও কানেও আঘাত রয়েছে। মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়েছে। অনেক নৃশংসভাবে মেরে হত্যা করা হয়েছে।’
বায়তুল আমান হেফজখানার পরিচালক ফরিদুল আলম জানান, দুই মাস হেফজ বিভাগে আমিনুল ইসলাম যোগ দেন। কী কারণে ছাত্রকে মারা হয়েছে তা তিনি জানেন না। ঘটনার সময় তিনি প্রতিষ্ঠানে ছিলেন না বলেও জানান।
খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পী চাকমা জানান, মরদেহের সুরতহালের সময় শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
আরও খবর: বেত্রাঘাতে মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু, হাসপাতালে লাশ ফেলে পালালেন শিক্ষক