গাজীপুরে মাদক মামলার রায়ে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের এক কারারক্ষীকে পাঁচ বছরের সশ্রম এবং এক কয়েদিকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে কারারক্ষীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া অন্য আরেকটি ধারায় ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫শ’ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। কয়েদিকে এক বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩-এর বিচারক মোসাম্মাৎ রেহেনা আক্তার এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত কারারক্ষী আজিজার রহমান বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পোড়ানগরী ছয় ঘড়িয়া গ্রামের নবাব আলীর ছেলে। কয়েদি শহিদুল ইসলাম ঢাকার সাভারের আশুলিয়া থানার গণকপাড়া এলাকার সুরত আলীর ছেলে। তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর কয়েদি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ফরিদা ইয়াসমিন জানান, ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর কয়েদি শহিদুল ইসলামকে সন্দেহ হলে তল্লাশি করে তার কোমর থেকে ১০০ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন কারারক্ষীরা। সে সময় জিজ্ঞাসাবাদে শহিদুল জানায়, কারারক্ষী আজিজার রহমানের কাছ থেকে তিনি ওই ইয়াবা নিয়েছেন। পরে আজিজারকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে কারা কমপ্লেক্সে তার রহমানের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে আরও ৬শ’ ইয়াবা এবং ১শ’ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর তৎকালীন জেলার দেওয়ান মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বাদী জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন দায়ের করেন। মামলা চলাকালে আজিজার জামিন লাভ করেন। ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে মঙ্গলবার দুপুরে আদালত রায় ঘোষণা করেন। আসামি আজিজার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ওয়াজ উদ্দিন মিয়া এবং আবুল কালাম আজাদ মিঠু।