‘বুদ্ধিজীবীরাই একটি সমাজ ও জাতির বিবেককে জাগ্রত করে রাখেন।’ বলেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
সভায় ১৯৭১-এর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পাশাপাশি জুলাই-আগস্টে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে উপ-উপাচার্য বলেন, ‘আজকের এই দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সাধারণত জানি সমাজের দুটো শ্রেণি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি হচ্ছে ধনিক শ্রেণি এবং আরেকটি বুদ্ধিজীবী শ্রেণি। আমাদের শত্রুরা বুঝতে পেরেছিল, এই দুই শ্রেণিকে ধ্বংস করে দিতে পারলেই একটি জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়া যাবে।
‘এই দুই শ্রেণি ছাড়াও আরও একটি শ্রেণি আছে– যুবসমাজ। যেটি আমরা জুলাই বিপ্লবে দেখলাম। তারা সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। নিজের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে সমাজের এক বড় পরিবর্তন এনেছে, সেই সব শহীদদের প্রতিও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।’
আলোচনা সভায় আগে সকাল সাড়ে ১০টায় কালো ব্যাজ ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে একটি শোক র্যালি শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এরপর এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভার মাঝে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়ার আয়োজন করা হয়।
বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমাইয়া আফরিন সানী ও প্রভাষক মো. গোলাম মাহমুদ পাভেল আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন। এ ছাড়া র্যালি ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন– কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, প্রক্টর ড. আবদুল হাকিমসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।