X
শনিবার, ১০ মে ২০২৫
২৬ বৈশাখ ১৪৩২
ঝালকাঠিতে দুই বিচারককে হত্যা

ঘাতকদের দাবি ছিল ‘আল্লাহর আইন অমান্য করায় হত্যা’

এস এম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি
১৬ অক্টোবর ২০১৬, ২৩:০২আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০১৬, ২৩:০৪







ঘাতকদের দাবি ছিল ‘আল্লাহর আইন অমান্য করায় হত্যা’ ‘আল্লাহর আইন অমান্য করে’ মানব রচিত আইনে বিচার করায় বিচারকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জেএমবির জঙ্গিরা। আর এরই জের ধরে দুই বিচারককে বোমা মেরে হত্যা করা হয় বলে তারা দাবি করেছিল।




বিচারকের কাছে জবানবন্দিতে তারা জানিয়েছিল, বাংলাদেশে ইসলামী আইনের শাসন নেই। এ জন্য জিহাদে নামতে বাধ্য হয় তারা। মানব রচিত আইন ও বিচার তারা মানেন না। তাই জিহাদের অংশ হিসেবে তারা এ হামলা চালিয়েছে। আর এ জন্য তারা ঝালকাঠিকে নিরাপদ জায়গা মনে করছিল। আল্লাহ ছাড়া তারা কারও কাছে আত্মসমর্পণ করতে রাজি নয়। বিচারক যেহেতু অবৈধ, তাই তাদের বিচারও অবৈধ।
ঝালকাঠি জেলা জজ আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার সময় ঝালকাঠি জজ কোর্টের সিনিয়র সহকারী জজ জগন্নাথ পাঁড়ে ও সোহেল আহম্মেদের গাড়ির কাছে যায় জেএমবি নেতা মো. আল মামুন। বিচারকদের একটি লিফলেট পড়তে দেয় সে। এ অবস্থায়ই হঠাৎ করেই একটি শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করে জেএমবি মামুন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় বিচারক জগন্নাথ পাঁড়ে। গুরুতর আহতাবস্থায় সোহেল আহম্মেদকে বরিশালে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার পথে মারা যায়।
এ ঘটনায় ঝালকাঠি জজ কোর্টের ড্রাইভার সুলতান হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তিনি ২০১৬ সালের ২১ মার্চ সিআইডির এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান জেএমবি প্রধান শায়খ আব্দুর রহমান ও সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাইসহ ৮জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র (নং ৩৮) দাখিল করেন। শুনানি শেষে ২৭ এপ্রিল চার্জ গঠন করেন আদালত। আসামিদের বক্তব্য শুনে দীর্ঘ শুনানি করে ৪৪ জন সাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে হামলাকারী জেএমবির নেতা আল মামুনের ভাড়াটিয়া ঘর মালিক সুলতান হোসেনকে বাদী করে একই বছরের ২৯ মে ৭ জেএমবি নেতাকে ফাঁসির আদেশ দেন তৎতকালীন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তারেক রেজা আহম্মেদ।
এ মামলায় আসাদুল ওরফে আরিফ পলাতক থাকায় ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। মৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জেএমবি নেতা আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফ ২০০৭ সালের ১০ জুলাই ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার হন। ২০০৮ সাল থেকে তিনি খুলনা জেলা কারাগারে ছিলেন। এদিকে জেএমবি নেতা আসাদুলের ফাঁসি কার্যকরের সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছে খুলনা কারাগার। আসাদুলের ফাঁসির রায় কার্যকর উপলক্ষে খুলনা জেলা কারাগারের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
এ ব্যপারে ঝালকাঠি পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আ. মান্নান জানান, ঝালকাঠিতে ২ বিচারক হত্যা মামলা ২০০৬ সালের ২৯ মে এ হত্যা মামলায় সাত জনের ফাঁসির আদেশ হয়। এর মধ্যে জেএমবি প্রধান শায়খ আব্দুর রমান ও সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাইসহ ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর হয়। কিন্তু জেএমবির অপর শীর্ষ নেতা আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফ দীর্ঘদিন পলাতক ছিল। এ মামলায় একমাত্র পলাতক আসামির ফাঁসি কার্যকর হওয়ার বিচারের পূর্ণতা পেয়েছে।
/এআর/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ তুলে নিলেন শিক্ষার্থীরা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ তুলে নিলেন শিক্ষার্থীরা
শাহবাগে মধ্যরাতেও উপচেপড়া ভিড়, চলছে ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী
শাহবাগে মধ্যরাতেও উপচেপড়া ভিড়, চলছে ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, ২০ কিলোমিটার যানজট
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, ২০ কিলোমিটার যানজট
আ.লীগের নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপি সুস্পষ্ট অবস্থান না নেওয়ায় ছাত্রদল নেতার পদত্যাগ
আ.লীগের নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপি সুস্পষ্ট অবস্থান না নেওয়ায় ছাত্রদল নেতার পদত্যাগ
সর্বাধিক পঠিত
জার্সি পরেই যমুনার সামনে দায়িত্বে রমনার ডিসি মাসুদ আলম
জার্সি পরেই যমুনার সামনে দায়িত্বে রমনার ডিসি মাসুদ আলম
সাবেক শিবির নেতাদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
সাবেক শিবির নেতাদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
যেভাবে বানাবেন কাঁচা আমের টক-মিষ্টি-ঝাল আমসত্ত্ব 
যেভাবে বানাবেন কাঁচা আমের টক-মিষ্টি-ঝাল আমসত্ত্ব 
তিন শিক্ষক আর পাঁচ শিক্ষার্থী দিয়ে চলছে সরকারি বিদ্যালয়
তিন শিক্ষক আর পাঁচ শিক্ষার্থী দিয়ে চলছে সরকারি বিদ্যালয়
কলকাতায় যুদ্ধের প্রস্তুতি মমতা সরকারের
কলকাতায় যুদ্ধের প্রস্তুতি মমতা সরকারের