বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে আব্দুল কাদের (৫২) নামে এক রোহিঙ্গার পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে ঘুমধুমের তুমব্রু ইউনিয়নের পর এবার সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওর্য়াডের জামছড়ি ৪৪ ও ৪৫ সীমান্ত পিলারের মাঝখানে তিনটি আর্টিলারি মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন স্থানীয়রা।
আহত আব্দুল কাদের ঘুমধুমের ছনখোলা ছেরাকুল এলাকায় বসবাসকারী রোহিঙ্গা নাগরিক মীর আহমদের ছেলে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, সীমান্তের ওপারে এক রোহিঙ্গা স্থলমাইন বিস্ফোরণে আহত হয়। পরে তাকে কক্সবাজার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে শুনেছি।
স্থানীয়রা জানান, সীমান্তের কাঁটাতারের ওপারে মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে একটি গরু আনতে গিয়ে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে আব্দুল কাদেরের একটি পা বিচ্ছিন্ন হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বাড়িঘর ছেড়ে কোথাও যাবো না, সীমান্তেই আমাদের জীবন-মরণ’
অন্যদিকে জামছড়িতে দুপুরের পর দুটি এবং সন্ধ্যায় একটি মর্টারশেল বিস্ফোরণের আওয়াজ পেয়েছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা কৃষক আবুল কালাম বলেন, মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দ শুনে খুবই ভয় পেয়েছি। বুঝতে পারছি না পরে না জানি কি হয়।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, জামছড়ি এলাকায় দুপুরে ও সন্ধ্যায় তিনটি মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন স্থানীয়রা। এর আগে কখনেও এ এলাকা থেকে মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়নি। তবে এতে বিস্ফোরণে কোনও ক্ষয়ক্ষতি নেই বলে জানান তিনি।
বিষয়টি জানতে একাধিকবার কল দিয়েও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌসের কোনও বক্তব্য মেলেনি।