চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ১৫০০ টাকার এলাচ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার টাকায় বিক্রি, মূল্য তালিকা না থাকায়, ক্রয়-বিক্রয় রশিদ না থাকাসহ নানা অভিযোগে ছয় প্রতিষ্ঠানকে ৫১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত।
অভিযানে বৃহত্তম আমদানিকারক মেসার্স আবু মোহাম্মদ অ্যান্ড কোম্পানিকে আমদানি মূল্যের তুলনায় অতিরিক্ত মূল্যে এলাচ বিক্রির অভিযোগে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মূল্য তালিকা এবং ক্রয়-বিক্রয় রশিদ না রাখার অভিযোগে মদিনা ট্রেডার্সকে ১০ হাজার, আজমির ভান্ডারকে তিন হাজার, ফারুক ট্রেডার্সকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর সরাসরি ডিও/এসও বিক্রির অভিযোগে ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজকে ১০ হাজার, দ্বীন অ্যান্ড কোম্পানিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, বিভিন্ন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের এলসি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, শুল্কসহ এলাচের দাম কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা হতে পারে, সেখানে পাইকারি বাজারে বিক্রয় হচ্ছে দুই হাজার ৩০০ থেকে তিন হাজার টাকায়। এ ছাড়াও বেশ কিছু মসলার দাম বেশি আছে বাজারে। আমরা চেষ্টা করছি দাম বাড়ার কারণটি খুঁজে বের করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, বারবার হাতবদল বা ডিও/এসও বিক্রিও একটি কারণ হতে পারে। আজ সামান্য জরিমানা করা হয়েছে, এরপর আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রমজানে চট্টগ্রামের বাজারকে কোনোভাবেই অস্থিতিশীল হতে দেওয়া হবে না। জেলা প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান সামনে আরও বাড়বে।
অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন- সহকারী কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আবু বক্কর এবং কোতোয়ালি থানা পুলিশ।