চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেল সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীতে ডুবেছে বালুবাহী বাল্কহেড ‘অনিমা সায়মা ২’। এটি উদ্ধারে চেষ্টা করছে চট্টগ্রাম বন্দরের টাগবোট।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় বন্দর জেটি ছেড়ে যাওয়া পানামার পতাকাবাহী কনটেইনারবাহী জাহাজ ‘এমভি জিয়ানিনা-২’ সঙ্গে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বন্দরের উদ্ধারকারী জাহাজ ‘কাণ্ডারী ১’ টাগবোট ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের তিন নাবিককে উদ্ধার করা হয়।
পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) ও গুপ্তা বাঁকের মাঝখানে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। ডুবে যাওয়ার স্থানের ওপর লাল বয়া স্থাপন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ, যাতে নিরাপদে বাণিজ্যিক জাহাজ বন্দরে আসা-যাওয়া করতে পারে।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক মঙ্গলবার রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গত রাতে একটি বালুবাহী বাল্কহেড ডুবে গেছে। ডুবন্ত বাল্কহেড উদ্ধারে লিফটিং ভ্যাসেল বিএলভি আলী, চ্যানেল টাগ ও জরিপ জাহাজ ‘জরিপ ৯’ চেষ্টা করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
তাই জরুরি ভিত্তিতে বাল্কহেডের মালিককে সেলভেজ করে নিরাপদ স্থানে নৌযানটি সরিয়ে নিতে অনুরোধ জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। অন্যথায় পোর্ট অ্যাক্ট ১৯০৮, ধারা ৩৩, ৪৩, চবক আইনের ধারা ১০ (জ), ১০ (ম), ১১ (গ), ২১ এবং সেলভেজ কনভেনশান ১৯৮৯-এর ধারা ৮, ১২ ও ২০ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
সচিব বলেন, ‘বন্দরে জাহাজ চলাচলে কোনও সমস্যা নেই। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বন্দরের জেটিতে ১২টি জাহাজ এসেছে। শুধুমাত্র নাবিকদের জন্য একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। নোটিশে বন্দর চ্যানেলে ধ্বংসাবশেষের আশপাশ দিয়ে চলাচলের সময় বিশেষ সতর্কতার কথা বলা হয়েছে।’