রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়েছে। লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর টিকা পাচ্ছে তারা।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের অফিসার্স ক্লাব সংলগ্ন টিকাকেন্দ্রে সরেজমিন দেখা যায়, টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। কেন্দ্রের সামনে দীর্ঘ সারি।
গোয়ালন্দ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হচ্ছে। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদ্রাসা, কওমি মাদ্রাসা ও কলেজসহ ২৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হবে।
টিকা নিতে আসা কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, ‘সকাল ১০টায় টিকা নিতে এসেছি। দেড় ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। আর কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে জানি না। আমাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে টিকা দিলে এত কষ্ট হতো না।’
এক অভিভাবক বলেন, ‘ছেলের টিকা নিতে এলাম। কিন্তু লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে করতে সে ক্লান্ত হয়ে গেছে। স্বাস্থ্যবিধিরও কোনও বালাই নেই। আর এই ভিড়ের মধ্যে তো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভবও না। টিকাকেন্দ্র আরও বাড়ানো দরকার। তাহলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমবে এবং স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা হবে।’
অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী জানায়, দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে পাঁচ কিলোমিটার দূর থেকে এসে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি। তবে ভালো লাগছে, প্রধানমন্ত্রী আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য করোনার টিকার ব্যবস্থা করেছেন।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান জানান, গোয়ালন্দ উপজেলায় ২৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি গণটিকা দেওয়ার দিন শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার তারিখ থাকায় একটু চাপ বেড়েছিল। তবে এই অবস্থা থাকবে না। উপজেলার সব শিক্ষার্থীই করোনার টিকা পাবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের দ্রুত টিকাদানের চেষ্টা চলছে। উপজেলায় একটি এসি রুম থাকায় একটু চাপ বেড়েছে। এছাড়া ফাইজারের টিকা এসি রুম ছাড়া দেওয়া যায় না। টিকাদানে আমাদের পর্যাপ্ত লোকবল রয়েছে। আশা করি কোনও সমস্যা হবে না।