গাজীপুরের শ্রীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে রাহেলা আক্তার (২৫) নামে এক পোশাকশ্রমিককে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী মো. সুজন মিয়া (৩২) পলাতক রয়েছেন।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন।
নিহত রাহেলা আক্তার নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার যাকতকুন্নি গ্রামের রুমাল মিয়ার মেয়ে। তিনি শ্রীপুরের ব্লু প্ল্যানেট নামের পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করতেন। তার স্বামী সুজন সুজন মিয়া ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বাসিন্দা।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অহিদুজ্জামান বলেন, ‘পাঁচ দিন আগে রাহেলার স্বামী তাকে নিয়ে মুলাইদ গ্রামের বাদল মিয়ার বাসা ভাড়া নেন। বাসায় উঠার একদিন পর ব্লু প্ল্যানেট পোশাক কারখানায় চাকরি নেন রাহেলা। প্রতিবেশীদের ধারণা, পারিবারিক কলহের জেরে রবিবার সন্ধ্যার পর রাহেলার স্বামী তাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর পালিয়ে যান। রাতে ঘরের দরজা খোলা দেখে প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন লাশ বিছানায় পড়ে আছে, গলায় ওড়না প্যাঁচানো। খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।’
এ ঘটনায় সোমবার সকালে নিহতের বড় ভাই জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে মো. সুজনকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। এসআই অহিদুজ্জামান বলেন, ‘আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’