X
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
১৭ আষাঢ় ১৪৩২

ভোট চলাকালে গুলিতে দুজন নিহত: সাবেক এসপি ও মেয়র খালাস

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
১২ নভেম্বর ২০২৪, ২২:১০আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২২:১০

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ২০০৪ সালে পৌর নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালে গুলিতে দুজন নিহত হওয়ার মামলায় সাবেক আলোচিত পুলিশ সুপার কোহিনুর মিয়া ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুস ছাত্তার ভূঁইয়া উজ্জ্বলকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মঙ্গলবার বিকালে ময়মনসিংহ জেলা অতিরিক্ত দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আদালতের বিচারক সাবরিনা আলী তাদের খালাস দেন।

আদালতের পুলিশ পরিদর্শক পি এস এম মোস্তাছিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘দীর্ঘ ২০ বছর ছয় মাস তিন দিন পর আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সাবেক পুলিশ সুপার কোহিনুর মিয়া ও পৌর মেয়র প্রার্থী আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়াকে খালাস দেন।’

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৫ মে নান্দাইলের আচারগাঁও হাই স্কুল কেন্দ্রে পৌর নির্বাচনের ভোট চলছিল। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে সুজন ও আবু তাহের নামের দুজন নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে নান্দাইল থানায় মামলা করে। মামলাটি কয়েক দফা তদন্ত করলেও আসামি শনাক্ত না হওয়ায় প্রথমে ওই বছরের ৩১ আগস্ট, দ্বিতীয়বার ১৯ ডিসেম্বর ও সর্বশেষ ২২ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ।

নান্দাইল পৌরসভা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া তখন নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে দিয়েও হেরে যান। এরপর ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার পর নান্দাইলের সাবেক এমপি খুররম খান চৌধুরী, সাবেক পুলিশ সুপার কোহিনুর মিয়া, পৌর মেয়র আব্দুস ছাত্তার ভূঁইয়াসহ ছয় জনের নামে ২০০৭ সালের ২৫ মার্চ আদালতে পুনরায় মামলা করেন রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া। আদালতের নির্দেশে নান্দাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন মামলা পুনরায় তদন্ত করে প্রমাণ না পাওয়ায় ২০০৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দেন। ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর নিহত সুজনের বাবা ও তাহেরের স্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরেরই ২৭ সেপ্টেম্বর আদালত চূড়ান্ত রিপোর্ট গ্রহণ করেন। তদন্ত রিপোর্টের বিরুদ্ধে রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া নারাজি দিয়ে পরের বছরের ১৮ মার্চ জেলা জজ আদালতে রিভিশন দায়ের করেন। পরে জেলা জজ আদালতের বিচারক মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার ইসমাইল হোসেন ২০১১ সালের ৩ জুলাই এসপি কোহিনুর মিয়া ও নান্দাইল পৌরসভার মেয়র আব্দুস ছাত্তার ভূঁইয়ার নামে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অভিযোগপত্র দেন। দীর্ঘ ২০ বছর ছয় মাস তিন দিন চলাকালে আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। কিন্তু অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সাবেক পুলিশ সুপার কোহিনুর মিয়া ও পৌর মেয়র প্রার্থী আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়াকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।

আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ এইচ এম খালেকুজ্জামান, আতাউর রহমান মুকুল ও এমএ হানান্ন খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আনোয়ার আজিজ টুটুল।

নান্দাইলের সাবেক পৌর মেয়র আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া রায় শুনে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘দীর্ঘ ২০ বছর পর আদালতের কাছে ন্যায়বিচার পেয়েছি।’ অপর আসামি এসপি কোহিনুর মিয়া পলাতক রয়েছেন।

/এএম/
সম্পর্কিত
মুন্সীগঞ্জের সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লবের সাত দিনের রিমান্ড
ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, বাদ পড়লো ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম
করোনা পরীক্ষায় ভুয়া প্রতিবেদন, চট্টগ্রামে চিকিৎসকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সর্বশেষ খবর
বেসরকারি শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা যোগদানের দিন থেকে শুরু করতে হাইকোর্টের রুল
বেসরকারি শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা যোগদানের দিন থেকে শুরু করতে হাইকোর্টের রুল
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্বের দায়িত্ব পেলো পাকিস্তান
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্বের দায়িত্ব পেলো পাকিস্তান
মুন্সীগঞ্জের সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লবের সাত দিনের রিমান্ড
মুন্সীগঞ্জের সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লবের সাত দিনের রিমান্ড
‘ক্যাপ্টেন কুল’ নামটা নিজের করে নিচ্ছেন ধোনি! 
‘ক্যাপ্টেন কুল’ নামটা নিজের করে নিচ্ছেন ধোনি! 
সর্বাধিক পঠিত
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা মুখোমুখি
প্রশাসনে থামছে না আন্দোলনঅন্তর্বর্তী সরকার ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা মুখোমুখি