বরিশাল সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরওয়ার ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাচনে প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব, কারচুপি, এজেন্টদের মারধর ও জালভোটের অভিযোগ এনেছেন তিনি। সোমবার (৩০ জুলাই) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।
এর আগে নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান মাহবুব।
সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে নগরীর কাউনিয়া সৈয়দা মজিদুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিজ কেন্দ্রে ভোট দিতে যান বিএনপি মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরওয়ার। ভোট দিতে এসে নিজের ভোটার নম্বর খুঁজতে থাকেন তিনি। এরপর দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে ভোটার নম্বর জানতে চান সরওয়ার। কিন্তু কেউ জানাতে পারেননি। এরপর ফোন করে ভোটার নম্বরটি তিনি জানতে পারেন। এতেই ১৫ মিনিট সময় লেগে যায়। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আমার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্র পাহারা দিচ্ছে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সদস্যরা। আমার ভোটার নম্বরটা খুঁজে পেতে দেরি হয়েছে। কারণ, আমার সমর্থকদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে সরওয়ার একাধিক ভোট দিচ্ছেন বলে চিৎকার শুরু করে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালায় আওয়ামী লীগের কর্মীরা। এ সময় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাদের বাধা দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তখন আতঙ্ক তৈরি হয়। অনেক ভোটার নিজের ভোট দিতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে বিজিবি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপরও সেখানে কয়েক দফায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে একই বিদ্যালয়ে দুটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সঞ্জয় রত্ন। আধঘণ্টা পর ফের ভোট শুরু হয়।
উল্লেখ্য, সোমবার (৩০ জুলাই) বরিশাল টাউন হলের সামনে সাংবাদিকদের সামনে ইসলামী আন্দোলনের (হাতপাখা প্রতীক) প্রার্থী ওবায়দুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘নির্বাচনি এজেন্টদের বের করে দেওয়া, ডিজিটাল কারচুপি, নৌকার পক্ষে সিল মারাসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে এই ভোট বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন-