বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে পাগলা কুকুরের কামড়ে বিভিন্ন বয়সের ২৪ জন নারী-পুরুষ ও শিশু আহত হয়েছেন। রবিবার (১৪ জুলাই) রাত ৮টা থেকে সোমবার (১৫ জুলাই) বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুব হোসেন সরকার এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘জলাতঙ্কের প্রতিষেধক টিকা না থাকায় আক্রান্তদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সদর হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
কুকুরের কামড়ে আহতদের কয়েকজন হলেন সারিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের দেলুয়াবাড়ি গ্রামের তারাজুল ইসলাম (৬০), কুঠিবাড়ি এলাকার জয়নব বেগম (৪০), পাকুল্লা এলাকার সায়েদুজ্জামান (৫৫), কুপতলা এলাকার আসাদ প্রামাণিক (৪০), ধলিরকান্দি এলাকার নূর আলম (৫২), নিজবাটিয়ার ঈশ্বর চন্দ্র (৫০), ধাপ এলাকার বন্ধন (৬), আবু সাঈদ (৩০), কমেলা (৫০), কিয়াম উদ্দিন (৬০), কৈয়েরপাড়া এলাকার মহিদুল প্রামাণিক (৫০), কুড়িপাড়ার জয়নব (৪০), বাগবেড় এলাকার সাদেকুল ইসলাম (১৫) বাড়ইপাড়ার মনোয়ারা (৩০) ও মথুরাপাড়ার বাবলু (৪০)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রবিবার রাত ৮টার দিকে একটি পাগলা কুকুর সারিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষকে আক্রমণ করে ও কামড় দেয়। আক্রান্তরা দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চিকিৎসকের কাছে যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক রোগের টিকা (ভ্যাকসিন) না থাকায় চিকিৎসকেরা আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এ সময় আক্রান্তদের বগুড়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আক্রান্তরা জানান, রবিবার রাত থেকে এক বা একাধিক পাগলা কুকুর উপজেলার ধাপ, কুপতলা, দেলুয়াবাড়ি, আন্দরবাড়ি, কৈয়েরপাড়া, কুড়িপাড়া, ধলিরকান্দিসহ কয়েকটি এলাকার মানুষকে কামড় দিতে শুরু করে। কুকুর অনেকের শরীরে কামড় দিয়ে মাংস তুলে নেয়।
সারিয়াকান্দি পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান মতি জানান, একটি পাগল কুকুর তার পৌর এলাকায় ৩-৪ জনকে কামড় দিয়েছে। হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় তিনি ৪৭০ টাকা মূল্যে ভ্যাকসিন কিনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।
সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুব হোসেন সরকার জানান, দেশের কোনও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক রোগের টিকা নেই। সোমবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত কুকুরে কামড়ানো মোট ২৪ জন রোগী এসেছিল। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অন্যত্র টিকা নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।