কুড়িগ্রামের চারটি সংসদীয় আসনে ৩৯ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ১৪ জনের বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। বাকি ২৫ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাতিলকৃত প্রার্থীদের মধ্যে পাঁচ জন দলীয় এবং ৯ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। রবিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে যাচাই-বাছাই শেষে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ এ ঘোষণা দেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, কুড়িগ্রাম-১ আসনে (ভূরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বরী) সাত প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র মো. আতিকুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বাকি ছয় জনের বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৈধ প্রার্থীরা হলেন এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আসলাম হোসেন সওদাগর (আওয়ামী লীগ), মোস্তাফিজুর রহমান (জাপা), কাজী মো. লতিফুল কবীর (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), মো.আব্দুল হাই (জাকের পার্টি), নুর মোহাম্মদ (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), মো. মনিরুজ্জামান খান ভাষাণী (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি)।
কুড়িগ্রাম-২ (সদর, ফুলবাড়ী ও রাজারহাট) আসনে ১১ প্রার্থীর মধ্যে ৫ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। ছয় জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার। মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন শেফালী বেগম (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বিএসপি), মো. আবু সুফিয়ান (স্বতন্ত্র), মো. নাজমুল হুদা (স্বতন্ত্র), মো. মশিউর রহমান (জাকের পার্টি), মো. শফিউজ্জামানর (স্বতন্ত্র) এবং মো. হামিদুল হক খন্দকার (স্বতন্ত্র)।
এই আসনে বৈধ ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ (জাপা), মো. জাফর আলী (আওয়ামী লীগ), মো. আব্দুস সালাম (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), মো. আব্দুল কুদ্দুস মিয়া (ওয়ার্কার্স পার্টি), মো.মকবুল হোসেন (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।
কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) আসনে সাত জন প্রার্থীর সাবাইকে বৈধ ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন আব্দুস সুবহান (জাপা), মো. সাহেব মিয়া (জাকের পার্টি), মোছাদ্দেকুল আলম (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে (আওয়ামী লীগ), ডা. আক্কাছ আলী সরকার (স্বতন্ত্র), মো. আব্দুল বাতেন (তৃণমূল বিএনপি), মো. হাবিবুর রহমান (কৃষক শ্রমিক জনতালীগ)।
কুড়িগ্রাম-৪ (চিলমারী,রৌমারী ও রাজিবপুর) আসনে ১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে সাত জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হলেও অপর সাত জনের মনোনয়নপ্রত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। বাতিল প্রার্থীদের মধ্যে তিন জন দলীয় এবং চার জন স্বতন্ত্র। বৈধ ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য মো. রুহুল আমীন (জেপি), মো. মজিবর রহমান বঙ্গবাসী (স্বতন্ত্র), মো. শহিদুল ইসলাম শালু (স্বতন্ত্র), একে এম সাইফুর রহমান (জাপা), মো. শাহ আলম (জাকের পার্টি), মো. বিপ্লব হাসান (আওয়ামী লীগ) ও মো. আবু হানিফ (স্বতন্ত্র)।
এই আসনে যাদের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা হয়েছে তারা হলেন শাহ মো. নুর-ই শাহী (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ আবু শামিম হাবীব (কৃষক শ্রমিক জনতালীগ), আতিকুর রহমান খান (তৃণমূল বিএনপি), আব্দুল হামিদ (বাংলাদেশ কংগ্রেস), জোবাইদুল ইসলাম বাদল (স্বতন্ত্র), ফারুকুল ইসলাম (স্বতন্ত্র) এবং মো. মাছুম ইকবাল (স্বতন্ত্র)।
রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সূচক তালিকায় ত্রুটি থাকায় ৯ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘাষণা করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনি ব্যয় নির্বাহের অর্থ প্রাপ্তির সম্ভাব্য উৎস, বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের বিবরণী ও আয়কর বিবরণীসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ত্রুটিজনিত কারণে পাঁচ জন দলীয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে তাদের আপিল করার সুযোগ রয়েছে।