কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় তিস্তা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনার তিন দিন পর নিখোঁজ এক শিশুর ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২২ জুন) সকালে উপজেলার বজরা ইউনিয়নের জিগাবাড়ির চর এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে স্থানীয়রা। মৃত ওই শিশুর নাম কুলসুম। সে বজরা ইউনিয়নের সাতালস্কর এলাকার কয়জর আলীর মেয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, ঘটনাস্থল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব দিকে তিস্তার তীরবর্তী বালুতে আটকে ছিল শিশুটির লাশ। পরে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। তবে নৌকাডুবির ঘটনায় এখনও পাঁচ জন নিখোঁজ আছেন।
উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতাউর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলের বেশ কিছুদূর ভাটি থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও এক দম্পতি ও তাদের শিশুসন্তানসহ পাঁচ জন নিখোঁজ রয়েছেন। শনিবার চতুর্থ দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে। ডুবুরি দল নিখোঁজদের সন্ধানে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
গত বুধবার (১৯ জুন) সন্ধ্যার দিকে বজরা ইউনিয়নের খামারদামার হাট এলাকার মাঝের চরের কাছে তিস্তা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকায় নারী ও শিশুসহ ২৫ জন যাত্রী ছিলেন বলে উদ্ধার যাত্রীদের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে। উলিপুরের বজরা পুরান বাজার এলাকা থেকে তারা তিস্তা নৌপথে রংপুরের পীরগাছা এলাকার পাওটানা গাবুরারচর গ্রামে ফিরছিলেন তারা। এ সময় খামারদামার হাট মাঝের চরের কাছে নৌকাটি ডুবে যায়। ওই দিন রাতেই ১৮ জনকে জীবিত এবং আয়শা নামে দেড় বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত পাঁচ জন।
স্বজনদের দেওয়া তথ্যমতে, নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন পশ্চিম বজরার আনিছুর রহমান (৩০), তার স্ত্রী রূপালি বেগম, তাদের মেয়ে আইরিন (৯), ভাগনি হিরা মনি (৯) এবং স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুর রহমানের ছেলে শামীম হোসেন (৫)।