দফায় দফায় আলোচনার পরে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্ত থেকে আটক এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ দুই বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
শুক্রবার (২ মে) বিকালে আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৮২৫-এর সাব পিলার ১-এর কাছ থেকে তাদের বিএসএফ ধরে নিয়ে যায়। এর ১০ ঘণ্টা পর রাত ৩টার দিকে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ওই দুজনকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।
পাটগ্রাম সীমান্ত থেকে ধরা হলেও বুড়িমারী ইউনিয়নের বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে তাদের হস্তান্তর করা হয়। এ সময় বিএসএফ, বিজিবি ছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া পাটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য তবিবর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘রাত ৩ টার দিকে তাদের বাড়িতে আনা হয়েছে। হস্তান্তর প্রক্রিয়া জিরোলাইনে হয়েছে। এ সময় বিএসএফের একটি দল ও নায়েব সুবেদারে নেতৃত্বে বিজিবির একটি দল অংশ নেয়। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন জিরোলাইন থেকে দূরে ছিল।
এ প্রতিবেদন তৈরির আগপর্যন্ত বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে কোনও বক্তব্য দেয়া হয়নি।
আটক সাজেদুর ও মাহফুজ জানান, সীমান্ত পিলারের খুব কাছে তারা অবস্থান করছিলেন। এ সময় বিএসএফের পক্ষ থেকে তাদের স্যারেন্ডার করতে বলা হয়। স্যারেন্ডার না করলে গুলি চালানোর হুমকি দেওয়া হয়। এরপর বিএসএফের কাছে আত্মসমর্পণ করলে মোবাইলে ধারণ করা চা বাগান ও বর্ডার এলাকার ছবি মোবাইল ফোন থেকে মুছে ফেলা হয়। এরপর বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।
এসএসসি পরীক্ষার্থী মাহফুজ বলেন, ধরে নিয়ে যাওয়ার পর বিএসএফের পক্ষ থেকে তাদের ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়।
এর আগে, ওই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তবিবর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শুক্রবার বিকালে এসএসসি পরীক্ষার্থী মাহফুজ ইমন (১৬) বগুড়া থেকে বেড়াতে আসা মামাতো ভাই সাজেদুর ইসলামসহ (২২) বাড়ির পাশে সীমান্তলাগোয়া চা বাগানে সেলফি তুলতে যায়। এ সময় তারা ভারত সীমান্তের আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ৮২৫/১-এর ২০-২৫ গজ ভেতরে চলে গেলে জলপাইগুড়ি বিএসএফের টহল দল তাদের আটক করে নিয়ে যায়।’
বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, ঘটনার পর স্থানীয়রা ধবলসূতি বিওপিকে জানান। দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যরা বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে।
বিএসএফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ ও ভিডিও ধারণ করার কারণে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।