তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। নিজ দল ক্ষমতাসীন জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি)’র নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর বৃহস্পতিবার তিনি এই ঘোষণা দেন।
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে আহমেদ দাভুতগলু বলেন, আগামী ২২ মে তার দল একেপি’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আর চলতি মাসের শেষের দিকে তিনি একেপি থেকেও সরে দাঁড়াবেন।
এর আগে বুধবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী। এরপর থেকেই তার পদত্যাগের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল।
বিবিসি খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতগলু দীর্ঘদিন ধরে রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের প্রেসিডেন্ট শাসিত সরকার গঠনের পরিকল্পনাকে অগ্রাহ্য করে আসছিলেন। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।
এরদোয়ান চাইছেন বর্তমান পার্লামেন্টারি ব্যবস্থার বদলে প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতিতে তুরস্ক পরিচালিত হোক। তিনি মনে করেন দুজন ক্ষমতাধর ব্যক্তির হাতে রাষ্ট্র পরিচালিত হতে পারে না। অন্যদিকে, আহমেদ দাভুতোগলু মনে করেন, প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা চালু হলে তার কোনও কর্তৃত্ব থাকবে না।
তুর্কি প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কেমিল এরটেম বলেছেন, নতুন নেতা নিয়োগে কোনও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ কোনও ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী করা হতে পারে। তুরস্কের একটি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একীভূত হন, তাহলে তুরস্কের অর্থনীতি আরও স্থিতিশীল হবে।
তুর্কি কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ২২ মে ক্ষমতাসীন দলের কনভেনশন হতে যাচ্ছে। সেখানেই এ বিষয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরবেন দাভুতোগলু।
আহমেদ দাভুতোগলু’র স্থলাভিষিক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন পরিবহনমন্ত্রী বিনালি ইলদ্রিম। এছাড়া আলোচনায় আছে এরদোয়ানের জামাতা ও জ্বালানিমন্ত্রী বেরাত আল বারাইকের নাম। সূত্র: বিবিসি।
/এমপি/