X
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
২১ আষাঢ় ১৪৩২

সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কারণ জানালেন তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৮ জুন ২০২২, ১৬:৩৬আপডেট : ১৮ জুন ২০২২, ১৬:৩৬

ইরানের অভিজাত কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানির হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুলেছেন তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তিনি বলেছেন, ৫০০ আমেরিকানকে হত্যার একটি চক্রান্ত ঠেকাতেই ইরানের এই কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে। সৌদি মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

মাইক পম্পেওর এই সাক্ষাৎকারটি শুক্রবার প্রকাশ করে আল আরাবিয়া। সাবেক এই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৫০০ আমেরিকানকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন সোলাইমানি। সেই ষড়যন্ত্র নস্যাতের সুযোগ যুক্তরাষ্ট্রের ছিল এবং আমরা সেটিই করেছি।

সোলাইমানি হত্যার নেপথ্যের পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন মাইক পম্পেও। তিনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে সরিয়ে নিতে চাইলে যুদ্ধ হবে! অনেকটা এ রকম সতর্কবার্তা ছিল। যুক্তরাষ্ট্র তার ইসরায়েল দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরিত করলেও যুদ্ধের সতর্কবার্তা ছিল। জেনারেল সোলাইমানির ওপর হামলা চালালেও যুদ্ধের সতর্কতা ছিল।

মাইক পম্পেও বলেন, ভালো কথা! এই সতর্কবার্তাগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র শুধু একটি বা দু’টিই করেনি। আমরা এর তিনটি কাজই করেছি এবং কোনও যুদ্ধ হয়নি।

এটি ট্রাম্প প্রশাসনের ত্বরিৎ সিদ্ধান্ত ছিল কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা ইরাকে আমাদের সম্পদ, সিরিয়ায় আমাদের লোকজন এবং প্রকৃতপক্ষে পুরো দুনিয়ায় আমেরিকানদের সুরক্ষার জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছিলাম। কুদস ফোর্স কী করছে আমরা তা দেখছিলাম। এটি এমন একটি প্রকল্প ছিল যেটিতে আমরা ক্রমাগত নিযুক্ত ছিলাম। আমাদের কাছে মার্কিন সম্পদ, মার্কিন জনগণ এবং আসন্ন হামলা বন্ধের সুযোগ ছিল। সেই সিদ্ধান্তই প্রেসিডেন্ট নিয়েছেন।’

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে জেনারেল সোলাইমানি এবং ইরাকের হাশদ আশ-শাবির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদী আল-মুহান্দিসকে হত্যা করা হয়। হামলার পাঁচ দিন পর ৮ জানুয়ারি ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি আইন আল-আসাদে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করে ইরান। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।

/এমপি/
সম্পর্কিত
ব্যাংকারদের সঙ্গে ইহুদি চরিত্র ‘শাইলক’-এর তুলনা করে তোপের মুখে ট্রাম্প
আগামী সপ্তাহেই হতে পারে গাজায় যুদ্ধবিরতি: হামাসের ‘ইতিবাচক’ সাড়ার পর ট্রাম্প
তুরস্কে বিরোধীদলীয় আরও ৩ মেয়র গ্রেফতার
সর্বশেষ খবর
জয়ের পর মনিকা চাকমা বললেন, ‘আজ অনেক ভালো লাগছে’
জয়ের পর মনিকা চাকমা বললেন, ‘আজ অনেক ভালো লাগছে’
ঢাকায় উদযাপিত হলো উল্টো রথযাত্রার শোভাযাত্রা
ঢাকায় উদযাপিত হলো উল্টো রথযাত্রার শোভাযাত্রা
আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে প্রতীকী কফিন মিছিল
আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে প্রতীকী কফিন মিছিল
বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে এই ৪ খাবার
বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে এই ৪ খাবার
সর্বাধিক পঠিত
জামায়াতের অনুষ্ঠানে ‘সৎ’ লোককে ভোট দিতে বলা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা
জামায়াতের অনুষ্ঠানে ‘সৎ’ লোককে ভোট দিতে বলা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম অংশ অবশ্যই মেটিকুলাসলি ডিজাইনড: মাহফুজ আলম
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম অংশ অবশ্যই মেটিকুলাসলি ডিজাইনড: মাহফুজ আলম
সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় হাত: চাপের মুখে প্রবীণ ও মধ্যবিত্তরা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় হাত: চাপের মুখে প্রবীণ ও মধ্যবিত্তরা
ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে আ.লীগ নেতা বাবাকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ
ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে আ.লীগ নেতা বাবাকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ