হামাসের কাছে এক বছরের বেশি সময় বন্দি থাকার পর দেশে ফিরে এসেছেন পাঁচ থাই জিম্মি। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার পর এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মিদের একজন, পোংসাক থায়েনা সাংবাদিকদের বলেছেন, জন্মভূমিতে ফিরে আসতে পেরে আমরা আবেগ ঠেকিয়ে রাখতে পারছি না। আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞবোধ করছি। আমাদের আর কিছুই বলার নেই
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অনুপ্রবেশ করে হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলের দাবি, সে সময় দেশি বিদেশিসহ মোট ২৪০ জন ব্যক্তিকে জিম্মি করে নিয়ে যায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্রগোষ্ঠী।
ওই হামলায় হামাসের অস্ত্রধারীদের গুলিতে ৪১ জন থাই প্রবাসী নিহত ও ৩০ জন থাই প্রবাসী জিম্মি হন। ওই বছরের শেষ নাগাদ কয়েকজন থাই জিম্মি মুক্তি পান।
ওই পাঁচ জিম্মিকে ইসরায়েল থেকে নিয়ে এসেছে থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যারিস স্যানগিয়ামপোংসা। দেশে পৌঁছানোর পর নিজের স্বস্তির কথা প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, মুক্তিপ্রাপ্তরা তাদের স্বজনের কাছে ফিরে এসেছেন। আমরা কখনও আশাহত হইনি আর সেটার সুফলও পেয়েছি।
হামাসের হামলার আগের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের কৃষি খাতে প্রায় ৩০ হাজার থাই শ্রমিক কাজ করতেন। দেশটিতে প্রবাসী কর্মীদের মধ্যে থাইরা ছিলেন অন্যতম সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবে হামলার পর প্রায় নয় হাজার কর্মীকে দেশে ফিরিয়ে আনে থাইল্যান্ড সরকার।
অবশ্য এখনও এক জিম্মি হামাসের হাতে আছে বলে ধারণা করছে থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ম্যারিস বলেছেন, আরও কোনও জীবিত থাই তাদের বন্দিদশায় থাকলে তাদের ফিরিয়ে আনতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। পাশাপাশি, প্রাণ হারানো দুজনের মরদেহ ফিরিয়ে আনা হবে।