X
বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩০

বাবার দেখানো পথে নাকি পশ্চিমাপন্থি হবেন কম্বোডিয়ার হুন মানেট?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৩ আগস্ট ২০২৩, ১২:৫৯আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২৩, ১৩:১৩

কম্বোডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রায় চার দশক শাসন করেছেন হুন সেন। এবারের বিতর্কিত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভের পর ক্ষমতায় নিজে বসেননি। বড় ছেলে সেনাবাহিনীর চার তারকার জেনারেল হুন মানেটকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেন। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রশ্ন উঠেছে, হুন মানেট বাবার দেখানো পথে হাটবেন নাকি পশ্চিমের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন উন্নয়ন করবেন।

সাবেক খেমার রুজ নেতা হুন সেন ১৯৮৫ সাল থেকে কম্বোডিয়া শাসন করেছেন। গত মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়লাভের পর তিনি রাজনীতি থেকে অবসরে গিয়ে বড় ছেলে হুন মানেটের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘোষণা দেন।

হুন মানেট ১৯৭৭ সালে গ্রামীণ কম্বোডিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বড়। নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও ব্রিটেনের ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট পয়েন্ট মিলিটারি একাডেমিতে কম্বোডিয়ার একটি সন্ত্রাসবিরোধী দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাবার দেহরক্ষী ইউনিটের উপপ্রধান হিসেবেও দায়িত্বে ছিলেন। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর প্রধান ও উপ সামরিক কমান্ডারও ছিলেন তিনি।

হুন মানেট কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি করবেন নাকি পশ্চিমা গণতন্ত্র অনুসরণ করবেন সেটাই দেখার বিষয়। গণতান্ত্রিক সংস্কারের আপাতত কোনও সম্ভাবনা নাই। কারণ তাকে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান সিপিপি-এর নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে। বিরোধীদের অবাধ রাজনীতির সুযোগ করে দিতে হবে। ট্রেড ইউনিয়নের জন্য রাজনৈতিক দুয়ার পুনরায় খুলতে হবে। এই পদক্ষেপগুলোর জন্য তার সরকারকে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখা হবে মুশকিল। কারণ এতদিন হুন সেন  সবকিছু বছরের পর বছর পরিচালনা করেছিলেন। এখনও অনেক ক্ষমতা তার বাবার কাছেই রয়েছে।

হুন মানেটকে নির্বাচনের সময় একজন সাংবাদিকের প্রশ্ন করেছিলেন তিনি তার বাবার থেকে ভিন্নভাবে শাসন করবেন কিনা?  কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান তিনি। 

যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে তার বসবাসের অভিজ্ঞতা আছে। সে দিক থেকে পশ্চিমের সঙ্গে কম্বোডিয়ার সম্পর্ক উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। চীনের ওপর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নির্ভরতা কমানো যায় কিনা সেই সম্পর্কে ক্লু খুঁজবেন।

এই মাসের শুরুর দিকে ইউএস-আসিয়ান বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি রয়টার্সকে বলেছেন,সংস্থাটি শিগগিরই নিউ ইয়র্কে হুন মানেটকে আমন্ত্রণ জানাবে। আরও বলেন,মানেট তার বাবার চেয়ে ভিন্ন ধরনের ব্যক্তি।

মানেট বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর অর্থনীতির উন্নতি, আইনের শাসন, সামাজিক ন্যায়বিচারের পাশাপাশি মানবসম্পদ ও অবকাঠামোর উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই, কারখানার শ্রমিক এবং বেসামরিক কর্মচারীদের মজুরি বাড়ানোর কাজ করা হবে।

/এসএইচএম/এলকে/
সম্পর্কিত
ফোর্বসের প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় আবারও শেখ হাসিনা
মোবাইলে ২ সহস্রাধিক মানুষের ছবি তুলেছেন এই নারী ফটোগ্রাফার
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শেষে গাজাকে নিরস্ত্রীকরণ করবে আইডিএফ: নেতানিয়াহু
সর্বশেষ খবর
নির্বাচন প্রতিহতকারীদের বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসবে, আশা তথ্যমন্ত্রীর
নির্বাচন প্রতিহতকারীদের বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসবে, আশা তথ্যমন্ত্রীর
বাজে ব্যাটিংয়ের পরও প্রথম দিন বাংলাদেশের
বাজে ব্যাটিংয়ের পরও প্রথম দিন বাংলাদেশের
বগুড়া শহরে ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
বগুড়া শহরে ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
ফোর্বসের প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় আবারও শেখ হাসিনা
ফোর্বসের প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় আবারও শেখ হাসিনা
সর্বাধিক পঠিত
ব্যারিস্টার সুমনের ব্যাংকঋণ সম্পদের চেয়ে আড়াই গুণ
ব্যারিস্টার সুমনের ব্যাংকঋণ সম্পদের চেয়ে আড়াই গুণ
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলায় ইরানকে পাশে চায় রাশিয়া
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলায় ইরানকে পাশে চায় রাশিয়া
ট্যুর প্যাকেজ প্রতারণা, বুকিং মানির নামে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ
ট্যুর প্যাকেজ প্রতারণা, বুকিং মানির নামে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ
আসন ছাড় বাড়তে পারে ওয়ার্কার্স পার্টি-জাসদের
আসন ছাড় বাড়তে পারে ওয়ার্কার্স পার্টি-জাসদের
৬২ মামলা মাথায় নিয়ে নির্বাচনে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত শওকত মাহমুদ
৬২ মামলা মাথায় নিয়ে নির্বাচনে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত শওকত মাহমুদ