X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

ডেল্টায় ধূলিসাৎ ‘হার্ড ইমিউনিটি’র স্বপ্ন?

বিদেশ ডেস্ক
২৭ আগস্ট ২০২১, ১৮:৫০আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২১, ১৯:০৮

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলছেন, কোভিড-১৯-এর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত হার্ড ইমিউনিটি অর্জন কি এখনও সম্ভব?

বৈশ্বিক জনসংখ্যার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মানুষ কোনও রোগের টিকা গ্রহণ বা আক্রান্তের পর সুস্থ হয়ে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করলে হার্ড ইমিউনিটি অর্জিত হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের নতুন নতুন সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট দেখা দেওয়ার কারণে এই মহামারিতে এটি অর্জন করা যাবে কিনা তা নিয়ে বির্তক রয়েছে।

এপিডেমিওলজিস্ট মিরসিয়া সোফোনিয়ার মতে, প্রশ্ন যদি হয় শুধু টিকাদানের ফলে আমরা মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব? এর উত্তর হলো: না।

তিনি জানান, হার্ড ইমিউনিটি দুটি মৌলিক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। প্রথমটি হলো, ভাইরাসের অন্তর্নিহিত সংক্রামতা এবং সংক্রমণ ঠেকাতে টিকার কার্যকারিতা। এই মুহূর্তে কার্যকারিতা নেই।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আলফার চেয়ে মোটামুটি ৬০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। মূল ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে আলফা ছিল দ্বিগুণ সংক্রামক। মানুষকে আক্রান্ত করার ক্ষেত্রে ভাইরাসের কার্যকারিতা যত বাড়ে হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের নির্দিষ্ট ন্যূনতম জনসংখ্যার মাপকাঠিও বেড়ে যায়।

আরেক এপিডেমিওলজিস্ট অ্যান্টয়নি ফ্লাহল্ট বলেন, ‘তাত্ত্বিকভাবে, এটি একেবারে সাধারণ হিসাব’। তিনি জানান, মূল ভ্যারিয়েন্টের পুনরায় উৎপাদনের (রিপ্রোডাকশন রেট বা আর রেট) ছিল শূন্য ও তিন-এর মধ্যে। এর অর্থ হলো, প্রত্যেক আক্রান্ত ব্যক্তি অপর তিনজনে সংক্রমণ ছড়াতে পারেন। এক্ষেত্রে ৬৬ শতাংশ মানুষের রোগ-প্রতিরোধ গড়ে উঠলে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করা যেত।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু যদি আর রেট হয় আট, যেমনটি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে দেখা যাচ্ছে, তাহলে হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের জন্য প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষের রোগটি প্রতিরোধ করতে সমর্থ হতে হবে।

যদি ডেল্টার বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা ১০০ শতাংশ হত তাহলে ৯০ শতাংশের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠা সম্ভব ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবতশত, টিকার কার্যকারিতা অনেক কম। সূত্র: এএফপি

/এএ/
সম্পর্কিত
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
ব্রিটেনের সর্বপ্রথম ক‌নিষ্ঠ কাউন্সিলর বাংলাদেশি ইসমাইল
রাশিয়ার ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় জেলেনস্কি
সর্বশেষ খবর
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
ন্যাশনাল ব্যাংকে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন, নিয়োগ পেলেন ১০ জন 
ন্যাশনাল ব্যাংকে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন, নিয়োগ পেলেন ১০ জন 
স্বস্তির জয়ে শিরোপার লড়াইয়ে ফিরলো লিভারপুল
স্বস্তির জয়ে শিরোপার লড়াইয়ে ফিরলো লিভারপুল
ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধে দায়ীদের জবাবদিহি চায় ঢাকা
ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধে দায়ীদের জবাবদিহি চায় ঢাকা
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
সব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি হারুনসব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী