হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়েহর হত্যাকাণ্ড গাজার শান্তি আলোচনা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। বুধবার (৩১ জুলাই) শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিসর এই মন্তব্য করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি এক টুইটে বলেছেন, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড এবং গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার মতো ঘটনা চলতে থাকলে, একপক্ষ যদি অন্যপক্ষের মধ্যস্থতাকারীকে হত্যা করে তবে মধ্যস্থতা কীভাবে সফল হবে? এই প্রশ্ন আমাদের।
শেখ মোহাম্মদ বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন গুরুতর অংশীদার ও মানব জীবনের প্রতি মনোভাব।
এরপর শেখ মোহাম্মদ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেছেন এবং শান্তি আলোচনা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে বলেছে, গত দুই দিনে ইসরায়েলের বিপজ্জনক উত্তেজনা বৃদ্ধির নীতির কারণে গাজার যুদ্ধের অবসান ঘটানোর প্রচেষ্টায় বাধা সৃষ্টি হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং গাজায় শান্তি আলোচনা অগ্রগতি না হওয়া পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে এবং ইসরায়েলের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব তুলে ধরছে।
কাতার, মিসর এবং যুক্তরাষ্ট্র বারবার ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বুধবার তার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র ডেভিড মেনসার জানান, ইসরায়েল আলোচনা সফল করার প্রতি প্রতিশ্রুতিশীল।
কাতার তেহরানে হানিয়েহর হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, যে এটি একটি বিপজ্জনক উত্তেজনা।