থাইল্যান্ডের বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরে আটকে রাখা বাঘ সরিয়ে নিতে শুরু করেছে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ। বন্যপ্রাণী পাচার এবং নিগ্রহের অভিযোগে কর্তৃপক্ষ ওই অভিযান চালায়।
উল্লেখ্য, দেশটির বিভিন্ন মন্দিরে বাঘ আটকে রাখার খবর পাওয়া যায়। এমনকী একটি মন্দিরের চিড়িয়াখানায় পরিণত হওয়ার বাসনার কথাও সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। আর মন্দিরের ভিক্ষুদের বিরুদ্ধে বাঘের অবৈধ প্রজনন এবং বন্যপ্রাণী পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দেশটির কাঞ্চনাবুরি প্রদেশের মন্দিরে আটক রয়েছে ১৩৭টি বাঘ। এরমধ্যে সোমবার (৩০ মে) ৩টিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক হাজার কর্মী পুরো সপ্তাহজুড়ে কাজ করে বাকিদেরও সরিয়ে নেওয়া হবে।
ভিক্ষুরা তাদের ওপর আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা প্রথমদিকে মন্দিরে প্রবেশে বাধা দিলেও, আদালতের আদেশ দেখানোর পর তারা মন্দিরে ঢুকতে দেন। এর আগে কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করার অনুরোধ করলেও তা তারা গ্রহণ করেননি।
একটি জনপ্রিয় মন্দির এবং পর্যটন কেন্দ্র দ্য ওয়াত ফা লুয়াং তা বুয়া টাইগার টেম্পলে বছরের পর বছর চেষ্টা করেও কর্মকর্তারা ঢুকতে পারেননি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাঘগুলোকে ঘরহারা প্রাণী হিসেবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল পার্কস-এর ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল অ্যাডিসন নুচদামরং বলেন, ‘এবার আমাদের হাতে আদালতের আদেশ রয়েছে। যা আগে ছিল না, যখন আমরা তাদের সহযোগিতা করতে অনুরোধ করেছিলাম, আর তারা তা করেননি।’
ওই মন্দিরের ভিক্ষুরা বাঘের অবৈধ প্রজনন এবং বন্যপ্রাণী পাচারের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে কর্তৃপক্ষের অভিযানে শিয়াল, এশীয় ভাল্লুক এবং বিভিন্ন প্রজাতির দুর্লভ পাখি উদ্ধার করা হয়েছিল ওই মন্দিরগুলো থেকে।
সূত্র: বিবিসি।
/এসএ/বিএ/