যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ বছর পর প্রথমবারের মতো এক আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে একই পরিবারের তিন সদস্যকে খুনের ঘটনায় তাকে এ সাজা দেন আদালত। ওই আসামির নাম ড্যানিয়েল লুইস লি (৪৭)। সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে মঙ্গলবার তার সাজা কার্যকর করা হয়। ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের একটি কারাগারে তার শরীরে প্রাণঘাতী ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয়। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
অনিষ্পত্তিকৃত আইনি চ্যালেঞ্জ থাকায় সোমবার একজন বিচারক বেশ কিছু মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সাজা স্থগিতের নির্দেশ দেন। তবে সুপ্রিম কোর্ট ওই স্থগিতাদেশ বাতিল করায় ড্যানিয়েলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আর কোনও আইনি প্রতিবন্ধকতা ছিল না।
দীর্ঘদিন ধরেই প্রাণঘাতী ইনজেকশন প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকে ‘অমানবিক’ আখ্যায়িত করে আসছিল দণ্ডপ্রাপ্ত ও তাদের স্বজনরা। করোনা পরিস্থিতির কথাও তুলে ধরেছেন অনেকে। কেননা, প্রিয় স্বজনকে শেষ বিদায় দিতে গিয়েও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়তে হতে পারে।
নানাবিধ আইনি চ্যালেঞ্জের কারণে ড্যানিয়েলসহ গুরুতর অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত বেশ কিছু আসামির সাজা কার্যকর করা যাচ্ছিল না। সুপ্রিম কোর্টের আদেশে সে অবস্থার অবসান হওয়ার পরই ১৭ বছরের রীতি ভেঙে ড্যানিয়েল লুইস লি-র মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাসে ৮১ বছরের আর্লিন পিটারসনের পরিবারের তিন সদস্যকে হত্যা করে একটি লেকে তাদের লাশ ফেলে দিয়েছিল ড্যানিয়েল। নিহতরা হচ্ছেন পিটারসনের কন্যা, পুত্রবধূ ও নাতনি। তবে পিটারসন জানান, তিনি আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চেয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বছর ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফের মৃত্যুদণ্ড চালুর উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।