ইকুয়েডরের উপকূলে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ৬টি প্রদেশে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। সুনামি আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করেছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপ থেকে ৮ মাসের শিশু উদ্ধার
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ইকুয়েডরের মুইজন থেকে ২৩ কি.মি. দক্ষিণ-পূর্বে। স্থানীয় সময় রাত আটটার দিকে পরপর দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। প্রথম ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪.৮। তবে দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি ছিল খুবই শক্তিশালী। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭.৮ এবং গভীরতা ১৯ কিলোমিটার। এরপর এখনও পর্যন্ত ইকুয়েডরে ৫.৪ ও ৪.৮ মাত্রার অন্তত আরও দুটি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে। সেগুলোর কেন্দ্রস্থল বাহিয়া ডি কারাকুজ এলাকায়। এগুলো ওই শক্তিশালী ভূমিকম্পটির আফটার শক।
আরও পড়ুন: ওবামাকে ‘ভণ্ড’ বললেন লন্ডনের মেয়র বরিস জনসন
দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট জর্জ গ্লাস টেলিভিশনে জানিয়েছেন, পোর্টোভিয়েজো শহরে ১৬ জন মান্টায় ১০ জন এবং গুয়াইয়াসে ২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভূমিকম্পের তীব্রতার কারণে বড় মাপের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভুমিকম্পের পর দেশটির ৬টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র জানিয়েছে, সুনামি আঘাত হানতে পারে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে ৩০০ কিলোমিটার এলাকা সুনামি সতর্কতায় আওতায় রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সুনামিতে ৩ ফুট উচ্চতার বন্যায় প্লাবিত হতে পারে উপকূলীয় এলাকা।
আরও পড়ুন: তুরস্ক সীমান্তে শরণার্থীদের ওপর গুলি ছোড়ার অভিযোগ
এদিকে বিশ্বের বড় ভূমিকম্পগুলোর একটি ঘটেছে এই ইকুয়েডরেই। ১৩ জানুয়ারি ১৯০৬ সালে ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূকম্পন হয় এখানে। ইকুয়েডর ও কলম্বিয়ার সমুদ্র উপকূলে সৃষ্ট এই সুনামিতে মারা যান পাঁচ শতাধিক মানুষ। আহত হন আরও দেড় হাজার। মধ্য আমেরিকা ও সানফ্রান্সিসকোতেও অনুভূত হয় এই ভূমিকম্প। যার প্রভাবে হাওয়াইয়ের নদীগুলো প্লাবিত হয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছিল। সূত্র: সিএনএন, রয়টার্স, ইউএসজিএস।
/এসএ/