ঢাকা বাদে দেশের সাত বিভাগের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে বিনামূল্যে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আগামী ২৪ অক্টোবর। ক্যাম্পেইন চলবে চার সপ্তাহ ধরে। এদিন বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের (গ্যাভি) সহায়তায় এ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, ও সিলেট বিভাগে শুরু হতে যাওয়া এই ক্যাম্পেইনে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং ১০-১৪ বছর বয়সী স্কুল বহির্ভূত কিশোরীরা বিনামূল্যে এই টিকা পাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছাত্রীদের জন্য ২৪ অক্টোবর থেকে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়ে চলবে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত নয় এমন ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের এই টিকা দেওয়া হবে ৬ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
১৪ নভেম্বর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্থায়ী ক্যাম্পে ১৮ কর্মদিবস পর্যন্ত টিকাদান কার্যক্রম চলবে। সেখানে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী অথবা ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের বিনামূল্যে এইচপিভির টিকা দেওয়া হবে।
ওই সাতটি বিভাগের নির্দিষ্ট বয়সী ও নির্ধারিত শ্রেণিতে অধ্যয়নরত কিশোরীরা www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে টিকাকার্ড সংগ্রহ করতে পারবে। পরে ওই কার্ড দেখিয়ে টিকার ডোজ নেওয়া যাবে।
জরায়ুমুখ ক্যানসার হয় হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস থেকে। এক ডোজ টিকা নেওয়ার মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, প্রতিটি ভায়ালে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ থাকে, যা দুই জন কিশোরীকে দেওয়া হবে। এটি এক ডোজের টিকা, যা মাংসপেশিতে দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে ১৩১ দেশে হিউম্যান পাপিলোমা ভাইরাস টিকা দেওয়া হয়েছে।