বার্ধক্য একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যার মধ্য দিয়ে আমাদের সবাইকেই যেতে হয়। তবে এর প্রভাবগুলোকে বিলম্বিত করতে এবং তারুণ্যের জীবনীশক্তি বজায় রাখতে চাওয়ার মধ্যে কোনও ক্ষতি নেই। দীর্ঘদিন তারুণ্য ধরে রাখতে চাইলে গুরুত্ব দিতে হবে খাদ্যাভ্যাসের উপর। ত্বক, স্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য বিভিন্ন ধরনের ফল ও শাকসবজি। এগুলো নিয়মিত খেলে শরীর ও ত্বক ভালো থাকবে। জেনে নিন কোন কোন খাবার রাখবেন খাদ্য তালিকায়।
১। ডালিম
পলিফেনল নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ রসালো ফল ডালিম। ত্বককে ইউভি ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে এবং ত্বকের গঠন উন্নত করতে সাহায্য করে ফলটি। ডালিম কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে এবং ত্বকের কোষের পুনর্জন্মকে উৎসাহ দেয়। কমিয়ে দেয় ত্বকের বলিরেখাও। নিয়মিত ডালিম খেলে ত্বক থাকে উজ্জ্বল ও টানটান।
২। পেঁপে
ভিটামিন, খনিজ এবং এনজাইম দ্বারা পূর্ণ ফল পেঁপে। বিশেষ করে ভিটামিন এ, সি এবং ই এর চমৎকার উৎস পেঁপে। এসব ভিটামিন ত্বকের মেরামতে সাহায্য করে। পেঁপেতে থাকা এনজাইম প্যাপেইন প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ছিদ্র খুলে দেয়। নিয়মিত পেঁপে খেলে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ হয়।
৩। ব্রকোলি
ভিটামিন সি, কে, বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, ফোলেট, লুটেইন এবং ক্যালসিয়ামের উৎস ব্রকোলি। শরীরের কোলাজেন উৎপাদনের জন্য ভিটামিন সি প্রয়োজন। কোলাজেন ত্বকের প্রধান প্রোটিন যা ত্বককে শক্তি এবং স্থিতিস্থাপকতা দেয়।
৪। পালং শাক
পালং শাক সুপার হাইড্রেটিং এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। কোষের ক্ষতি পূরণ করতে সহায়তা করে উপকারী পালং শাক। ভিটামিন এ, সি, ই, কে, ম্যাগনেসিয়াম মেলে পালং শাক থেকে। পাতাযুক্ত এই সবুজের উচ্চ ভিটামিন সি কন্টেন্ট ত্বককে দৃঢ় এবং মসৃণ রাখতে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়।
৫। মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুর কমলা রঙ বিটা-ক্যারোটিন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থেকে আসে যা ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা পুনরুদ্ধার করতে ও ত্বকের কোষ ভালো রাখতে সাহায্য করে মিষ্টি আলুতে থাকা বিভিন্ন উপাদান। ভিটামিন সি এবং ই-এর একটি দুর্দান্ত উৎস মিষ্টি আলু। এই দুই ভিটামিন আমাদের ত্বককে ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করতে পারে।
তথ্য: হেলথলাইন ও টাইমস অব ইন্ডিয়া