মুখে দুর্গন্ধ হওয়া খুব অস্বস্তিকর বিষয়। অনেকেই ভাবেন, শুধু সঠিকভাবে মুখ পরিষ্কার না করলেই মুখে দুর্গন্ধ হয়। এটি অবশ্যই অন্যতম একটি বড় কারণ, কিন্তু একমাত্র কারণ নয়। দুই বেলা নিয়ম মেনে দাঁত ব্রাশ করার পরেও যদি মুখে দুর্গন্ধ হয়, তবে এর পেছনে থাকতে পারে অন্য কারণ। জেনে নিন কোন কোন কারণে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে।
- দাঁতের সমস্যা ও মুখে ব্যাকটেরিয়া জমার ফলে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হওয়ার সমস্যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলে 'হ্যালিটোসিস।' কম পানি খাওয়া, পেটের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ঘুমের সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার ফলে মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
- মুখের ভেতর যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে থুতু বা স্যালাইভা তৈরি না হয়, তখন তাকে বলে ড্রাই মাউথ। এই পরিস্থিতিতে শরীর নিজে থেকে মুখের ভিতর পরিষ্কার করতে পারে না। খাবারের কণা মুখের ভিতর রয়ে যায়, তার থেকেই মুখে দুর্গন্ধ হয়। নানা কারণে মুখের ভিতর শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, যেমন ডিডাইড্রেশন, তামাক সেবন, কফি বা অ্যালকোহল খাওয়া, শুকনো ও মসলাদার খাবার খাওয়া ইত্যাদ।
- টনসিল স্টোনের কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়। অনেক সময় টনসিলের উপর খাবার জমা হয়ে জমে যায়, যার ফলে টনসিল স্টোন তৈরি হয়। এর ফলে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়।
- শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। এই ভিটামিন দাঁত ভালো রাখে, ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। দেহে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি না থাকলে দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়, ফলে মুখে দুর্গন্ধ হয়।
- সাইনাসে সংক্রমণ হলে মুখে দুর্গন্ধ হয়। সাইনাস থেকেই মূলত মিউকাস তৈরি হয়। সাইনাসে সংক্রমণ হলে নাক কিংবা মুখ দিয়ে গাঢ় হলুদ বা সবুজ রঙের মিউকাস বেরিয়ে আসে, যার ফলকে মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।
- শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি হলে মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে, মুখের ভেতরে ধরনের ক্ষত দেখা যায়। এই ক্ষত থেকে মুখে সংক্রমণ ঘটতে পারে। মুখে জীবাণু সংক্রমণ, নানা ধরনের ক্ষতের কারণে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে মুখে।
তথ্যসূত্র: নিউজ এইটিন