ঈদ মানে মিষ্টি একটা ব্যাপার। কাগজে কলমে নয়, হাতে কিংবা পাতে চাই মিষ্টান্ন। তাই বলে কি আর সারাদিন রসগোল্লা গেলা যায়? ঘরে থাকা এটাওটা দিয়েই বানিয়ে ফেলুন জিভে জল আনা ডেজার্টগুলো। আর হ্যাঁ, ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এক্ষেত্রে চিনির বদলে ব্যবহার করতে পারেন ডায়াবেটিক সুগার।
শির খুরমা
যা যা লাগবে
- আধা লিটার ফুলক্রিম দুধ।
- ৫০ গ্রাম ভাজা সেমাই। ছোট ছোট টুকরো করে কাটা।
- ১/৪ কাপ চিনি।
- ২ টেবিল চামচ কুচি করে কাটা শুকনো খেজুর।
- ১/৪ কাপ কিশমিশ।
- ১/৪ কাপ কাঠবাদাম কুচি।
- ১/৪ কাপ পেস্তা বাদাম।
- ১/৪ কাপ ঘি।
- আধা চা চামচ জাফরান।
- আধা চা চামচ এলাচ গুড়ো।
যেভাবে বানাবেন
১। একটি প্যানে মাঝারি আঁচে ঘি গরম করুন।
২। কাঠবাদাম কুচি, কিশমিশ ও পেস্তা বাদাম দিয়ে ভালো করে নাড়ুন।
৩। আরেকটি প্যানে ঘি গরম করে সেমাই ভেজে নিন।
৪। আরেকটি চওড়া প্যানে দুধ ঢেলে সেটাকে অল্প আঁচে নেড়ে ঘন করুন। চিনি দিয়ে আরও খানিকটা জ্বাল দিন।
৫। তাতে ভাজা সেমাই, শুকনো ফল, খেজুর ও জাফরান দিন।
৬। হালকা আঁচে নাড়তে থাকুন। এলাচ গুড়ো দিন। অল্প আঁচে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
৭। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে তাতে খেজুর কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
মাটকা ফিরনি
পুরো পরিবারের জন্য এক বাটি মাটকা ফিরনির রেসিপি দেওয়া হলো-
যা যা লাগবে
- ৩ লিটার ফুল ক্রিম দুধ।
- ১ কেজি চলের গুড়ো।
- ৪০০ গ্রাম চিনি।
- ৫০ মিলিলিটার জাফরান দুধ (জাফরান মিশিয়ে রাখা)।
- ১ লিটার ঘন করে জ্বাল দেওয়া দুধ বা এক কৌটা কনডেন্সড মিল্ক।
- ১ চা চামচ এলাচ গুড়ো।
- কাঠবাদাম কুচি।
যেভাবে বানাবেন
১। বড় প্যান বা কড়াইতে দুধ জ্বাল দিন।
২। মাঝে মাঝে নেড়েচেড়ে অল্প আঁচে ১০ মিনিট রেখে দিন।
৩। আঁচ কমিয়ে রেখে দুধ ঘন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৪। চালের গুড়ো ও কনডেন্সড মিল্ক যোগ করুন।
৫। ৫ মিনিট ধরে মাঝে মাঝে নাড়ুন। তা না হলে দলা পাকিয়ে যেতে পারে।
৬। আরও ৫ মিনিট অল্প আঁচে রাখুন। নাড়তে ভুলবেন না।
৭। চাল পুরোপুরি সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত দুধ ফোটাতে থাকুন।
৮। আধা কাপ চিনি ও জাফরান দুধ মেশান।
৯। দুধ থিকথিকে না হওয়া ধীরে ধীরে নাড়ুন।
১০। এলাচ গুড়ো মেশান।
১১। এরপর ঠান্ডা করতে ফ্রিজে রেখে দিন। ওপরে মিক্সড বাদাম কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
মরিচের হালুয়া
সারাক্ষণ মিষ্টির ওপর থাকতে থাকতে মনটা যদি অন্য কিছু খোঁজে তবে বানাতে পারেন মরিচের হালুয়া। নাম শুনে ভয় পাবেন না, এটা তেমন ঝাল কিছু নয়।
যা যা লাগবে
- ২৫০ গ্রাম ক্যাপসিকাম (সবুজ, হলুদ)।
- ২০০ মিলিলিটার দুধ।
- ৩০ গ্রাম খোয়া ক্ষীর।
- ৫০ গ্রাম চিনি।
- ২ গ্রাম সবুজ এলাচ।
- ২০ মিলিলিটার ঘি।
তিলের প্রালিন তৈরির জন্য
- ৫০ গ্রাম চিনি
- ৫ গ্রাম গুড়
- ৫ গ্রাম তিল
যেভাবে বানাবেন
১। ক্যাপসিকাম ভালো করে ধুয়ে কুচি করুন।
২। ক্যাপসিকামগুলো দুধে জ্বাল দিন। দুধে ফুটতে শুরু করলে চিনি মেশান।
৩। চিনি পুরোপুরি গলে যাওয়ার পর ঘি ও খোয়া ক্ষীর গ্রেট করে দিন। সঙ্গে দিন এলাচ গুড়ো। দুই মিনিট নেড়ে প্যানটা সরিয়ে রাখুন।
৪। প্রালিন তথা তিলের ক্যারামেল মিক্স তৈরির জন্য তিল তাওয়ায় ভাজুন। তিলের মধ্যে ক্যারামেল করা চিনি ও গুড় ঢেলে দিন। মিশ্রণটি শুকিয়ে এলেই ভেঙে টুকরো টুকরো করে নিন।
৫। পরিবেশনের আগে প্যানে ছড়িয়ে দিন প্রালিনের টুকরো ও আরেকটুখানিক গ্রেট করা খোয়া ক্ষীর।