X
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
৩ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন বছরে সরকারের যত চ্যালেঞ্জ

এমরান হোসাইন শেখ
০১ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:০০আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:০০

ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে চলে গেলো আরেকটি বছর। সেই সঙ্গে বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদ থেকেও কমে গেছে একটি বছর। তিন বছর পার করে চার বছরে পা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। সরকারকে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে নতুন বছরে। টানা দুই বছর করোনার মধ্যে দিয়ে কাটানো সরকারকে নতুন বছরটিও করোনাকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

সরকারে যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে— উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা, মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ এগিয়ে নেওয়া, দুর্নীতি নির্মূল করা, বিদেশে অর্থপাচার ঠেকানো ও নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অস্থিরতা প্রশমন ও তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং নিত্যপণ্যের মূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখাও বড় চ্যালেঞ্জ।

এদিকে বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদের তিনটি বছর রাজনীতির মাঠ বেশ স্বাভাবিক থাকলেও নতুন বছরে তা উত্তপ্ত হতে পারে। দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি ইতোমধ্যে তাদের দলীয় প্রধানকে বিদেশ পাঠানোর দাবিতে মাঠে নেমে পড়েছে। নতুন বছরে তাদের মাঠে নামার মাত্রা আরও বাড়তে পারে। এ পরিস্থিতির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকারকে নির্বাচনমুখীও হতে হবে নতুন বছরে। বিতর্কমুক্ত নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সরকারের সামনে আরেক বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

নতুন বছরে সরকারের সামনে প্রথমেই আসছে একটি যোগ্য নির্বাচন কমিশন নিয়োগ। কমিশন নিয়োগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ইতোমধ্যে রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করেছেন। তবে এই সংলাপে সব দলের অংশগ্রহণ ইতোমধ্যে ধাক্কা খেয়েছে। একটি রাজনৈতিক দল এরই মধ্যে সংলাপ বর্জন করেছে। দেশের অন্যতম প্রাচীন দল সিপিবি সংলাপে যাবে না বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে। দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিও সংলাপে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে এসব দলের বয়কটের কারণে একটি নিরপেক্ষ ও বিতর্কহীন কমিশন গঠন প্রশ্ন সাপেক্ষ হয়ে দাঁড়াবে।

নতুন বছরে কয়েকটি ইস্যুতে উত্তাপ ছড়াতে পারে দেশের রাজনীতি। বিএনপি ইতোমধ্যে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে মাঠে নেমে পড়েছে। নতুন বছরে তাদের ইস্যুভিত্তিক মাঠের কর্মসূচি বাড়তে পারে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন বছরে রাজনীতির মূল ইস্যু হবে সবার অংশগ্রহণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান পদ্ধতি নিশ্চিত করা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর কিংবা ২০২৪-এর জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিরোধীদের বোঝাপড়া জোরদার হবে নতুন বছরেই।

করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে বিপুলসংখ্যক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানও লোকসানে পড়ে তাদের কর্মী ছাটাই করেছে।  এর মধ্যে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রেক্ষাপটে শিক্ষাজীবন শেষ করে নতুন নতুন শিক্ষিত বেকার শ্রমবাজারে প্রবেশ করবে নতুন বছরে। এত লোকের কর্মসংস্থান নিয়েও সরকারকে ভাবতে হবে। নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির মাধ্যমে নিত্যপণ্য মধ্য ও নিম্নবিত্ত মানুষের কাছে অব্যাহতভাবে পৌঁছে দেওয়াটাও সরকারের চ্যালেঞ্জ।

বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসের কারণে বিদেশে কর্মরত বিপুলসংখ্যক প্রবাসী শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। বিশ্বের অনেক দেশ থেকে এই কর্মী ছাটাই হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে রেমিট্যান্সে। অতীত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, রেমিট্যান্স প্রবাহ ক্রমান্নয়ে বৃদ্ধি পেলেও চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ধারাবাহিকভাবেই তা কমছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের দেশে পাঠানো অর্থের পরিমাণ গত নভেম্বরে ছিল ১ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ বা ৯৩ দশমিক ১৭ মিলিয়ন কম। এই নেতিবাচক ধারা আগামী বছরে অব্যাহত থাকলে রিজার্ভের ওপর চাপ পড়বে। ফলে চাকুরি হারানো এই বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বিদেশে সংকুচিত হয়ে আসা চাকরির বাজার সম্প্রসারণের দিকে মনোযোগ দেওয়ার ওপর জোর দিতে হবে সরকারকে। এটা না করা হলে সার্বিক রেমিট্যান্স প্রবাহের ওপর বড় ধাক্কা লাগতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া প্রবাসীকর্মীদের দেশে ফিরে আসা অব্যাহত থাকলে অভ্যন্তরীণ শ্রমবাজারে আরও  চাপ বাড়বে।

এদিকে বিদায়ী বছরের শেষ দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানো, র‌্যাবে দায়িত্বপালনকারী বাংলাদেশের পুলিশের কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্যের উদ্বেগ প্রকাশ, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের অবাধ কাজকর্ম করা এবং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাবও সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্য সব চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি এগুলোও নতুন বছরে মোকাবিলা করতে হবে সরকারকে।

সরকারের সামনের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সম্প্রতি রোহিঙ্গা সমস্যা, মৌলিক কয়েকটি পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, বৈশ্বিক মহামারির কারণে বিদেশে কর্মসংস্থান সংকুচিত হওয়ার পাশাপাশি নতুন করে কর্মসংস্থান তৈরি না হওয়ার কথা বলেছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনাকেও তিনি একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) একটি বেসরকারি টেলিভিশনে আগামী দিনে তিনটি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেছেন। তার মতে, এই তিনটি চ্যালেঞ্জে আন্তর্জাতিক বিশ্বের জন্য যেমন প্রযোজ্য তেমনই বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। আগামী বছর অতিমারীর ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে উল্লেখ করে ড. দেবপ্রিয়  বলেন, ‘সামনে করোনার নতুন নতুন ধাক্কার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এজন্য টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে আগামী বছর (২০২২) একটি চাপ থাকবে। বৈদেশিক টিকার ওপর নির্ভরশীল বাংলাদেশের টিকা প্রাপ্তির উত্থান-পতনে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিপদগ্রস্ত হতে পারে। এজন্য টিকা উৎপাদনের দিকে যেতে হবে।’

স্বাস্থ্য সুরক্ষার অনিশ্চয়তা দেশের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ছে। তেল ও কাঁচামালসহ খাদ্যশস্য, সার, কাঁচামালের দাম বাড়লে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। প্রাথমিক পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ একটি বড় বিষয় হয়ে থাকবে। এজন্য অর্থনীতিকে সচল রেখে আয়-বিনিয়োগ, বাণিজ্য, রেমিট্যান্স এগুলো যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটা দেখতে হবে।’

এই গবেষক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিশ্বে গণতন্ত্রের একটি নতুন চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। গণতন্ত্রের এই আকাঙ্ক্ষাটা মানুষের সামনে আসবে। মতামত প্রকাশ ও মানবাধিকারের বিষয়টিও সামনে আসবে।’

তার মতে বাংলাদেশে নতুন করে দুই-তিনটি টেনশনের জায়গা তৈরি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা এখন আর কাঁটাতারের বেড়ার মধ্যে আবদ্ধ থাকছে না। এই সমস্যা ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সমস্যায় পরিণত হচ্ছে। আমরা যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করি, তা গত দুর্গাপূজার সময় চ্যালেঞ্জ হয়েছে। এছাড়া শান্তিচুক্তি হলেও ভূমি সমস্যার সমাধান না হওয়ায় সেখানেও ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অল্প কথায় বলা যায়, উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখাই হবে আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হবে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করা। এছাড়া বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থানকে সুসংহত করা। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশকে আরও প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে।’

মাঠের রাজনীতি উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কার প্রশ্নে সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার এ জাতীয় পরিস্থিতি অতীতে মোকাবিলা করে আসায় সক্ষমতা রয়েছে। আন্দোলন সংগ্রামের নামে কেউ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইলে, তা মোকাবিলা করতে আওয়ামী লীগ সরকার খুবই দক্ষ। ফলে এক্ষেত্রে কঠিন কিছু হবে বলে মনে করি না।’

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মুহম্মদ ফারুক খান বলেন, ‘বিদায়ী ২০২১ সালে আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল করোনা। আমরা সেটাকে সুন্দরভাবে মোকাবিলা করেছি। আগামী বছরও আমাদের করোনাকে সঙ্গী করে চলতে হবে বলে মনে হচ্ছে। সেই প্রস্তুতি নিয়েই সরকার এগুচ্ছে। আমাদের সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ কিছুটা ধীর গতি হলেও এখন এগিয়ে যাচ্ছে। নতুন বছরে এগুলো আরও গতি পারে বলে আমরা আশা করি। আমরা যে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, নতুন বছরে তা বাস্তবায়নে আরও একধাপ এগিয়ে যাবো। নতুন বছরে নতুন কোনও চ্যালেঞ্জ এলে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হওয়ার কিছু দেখছি না। নিয়মতান্ত্রিকভাবে কেউ রাজনীতি করলে মাঠ উত্তপ্ত হবে কেন? তারা যদি মাঠ গরমের নামে অতীতের মতো চোরাগোপ্তা হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের চেষ্টা করে, তাহলে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। জনগণকে তারা বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলে আমরা জনগণকে সচেতন করবো।’

/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
মিয়ানমারে আরেকটি সীমান্ত শহর দখল করলো বিদ্রোহীরা
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
সরকার নির্ধারিত দামে গরুর মাংস বিক্রি করবেন না নওগাঁর ব্যবসায়ীরা
সর্বশেষ খবর
বিশ্বকাপ নিয়ে বেশি মাতামাতি না করতে শান্তর অনুরোধ
বিশ্বকাপ নিয়ে বেশি মাতামাতি না করতে শান্তর অনুরোধ
আটলান্টিক মহাসাগরে পাওয়া ৯ মরদেহের পরিচয় নিয়ে যা বললো ব্রাজিল
আটলান্টিক মহাসাগরে পাওয়া ৯ মরদেহের পরিচয় নিয়ে যা বললো ব্রাজিল
দুর্গাসাগরে ডুবে পুণ্যস্নানে আসা কলেজছাত্রের মৃত্যু
দুর্গাসাগরে ডুবে পুণ্যস্নানে আসা কলেজছাত্রের মৃত্যু
টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি নিলে ব্যবস্থা
টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি নিলে ব্যবস্থা
সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদির ‘ঈদের চিঠি’ ও ভারতে রেকর্ড পর্যটক
শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদির ‘ঈদের চিঠি’ ও ভারতে রেকর্ড পর্যটক
৪ দিনেই হল থেকে নামলো ঈদের তিন সিনেমা!
৪ দিনেই হল থেকে নামলো ঈদের তিন সিনেমা!
বিসিএস পরীক্ষা দেবেন বলে ক্যাম্পাসে করলেন ঈদ, অবশেষে লাশ হয়ে ফিরলেন বাড়ি
বিসিএস পরীক্ষা দেবেন বলে ক্যাম্পাসে করলেন ঈদ, অবশেষে লাশ হয়ে ফিরলেন বাড়ি
চাসিভ ইয়ার দখল করতে চায় রাশিয়া: ইউক্রেনীয় সেনাপ্রধান
চাসিভ ইয়ার দখল করতে চায় রাশিয়া: ইউক্রেনীয় সেনাপ্রধান
বাজারে ক্রেতা নেই: তবু ব্রয়লারের কেজি ২৩৫, গরু ৮০০
বাজারে ক্রেতা নেই: তবু ব্রয়লারের কেজি ২৩৫, গরু ৮০০