টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আওতাধীন পানি বিষয়ক কর্মসূচি বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বৃদ্ধির জন্য উন্নয়ন সহযোগী এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। বুধবার (২২ মার্চ) জাতিসংঘ সদর দফতরে চলমান আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনের সাধারণ বিতর্কে বক্তব্য প্রদানকালে এই আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
জাতিসংঘ আয়োজিত প্রথম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন এটি। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র ও এর আওতাধীন বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থাসমূহ এবং অন্যান্য সব অংশীজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বৈশ্বিক পানি বিষয়ক কর্মসূচির বাস্তবায়নে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি পর্যালোচনাকে সামনে রেখে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। ২০২৩ সালের জাতিসংঘ পানি সম্মেলনের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞাপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট জাতীয় নীতির কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পানি সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে একটি কার্যকর ও সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা তৈরির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ নামে ১০০ বছর মেয়াদী একটি পরিকল্পনা এবং ‘বাংলাদেশ পানি আইন ২০১৩’ প্রণয়ন করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বিশেষ করে পানি সংক্রান্ত জলবায়ু অভিযোজনের জন্য সীমিত আন্তর্জাতিক অর্থায়নের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি টেকসই পানি ব্যবস্থাপনার জন্য অভিযোজন অর্থায়নসহ আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরত্বারোপ করেন। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জোরালো আহ্বান জানান।
এই সম্মেলনে একটি উদ্বোধনী এবং সমাপনী অনুষ্ঠান, সাধারণ বিতর্ক সম্পর্কিত ছয়টি প্ল্যানারি সভা এবং বহু অংশীজনদের অংশগ্রহণে পাঁচটি ইন্টারঅ্যাক্টিভ সংলাপ রয়েছে। এতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও মন্ত্রীসহ কয়েকশ প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে এ সম্মেলনে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকসহ ১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল অংশ নিচ্ছে।