বাংলা ট্রিবিউনের দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পত্রিকাটির সাংবাদিক, পাঠক, পরিবেশক, পৃষ্ঠপোষক ও ব্যবস্থাপনা-সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সোমবার (১৩ মে) দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এই অনলাইন নিউজ পোর্টালের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, তথ্যে প্রবেশাধিকার এবং জনগণের ক্ষমতায়ন পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। নিরাপদ ও মুক্ত গণমাধ্যম গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে পারে।’
তিনি বাণীতে আরও বলেন, গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়, যা দর্পণ হিসেবে সমাজের নানাবিধ অসংগতি ও সমস্যা তুলে ধরে এবং সমাধানে সহযোগিতা করে। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি, রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা সংবাদপত্রের মাধ্যমে জনগণ জানতে পারে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে সংবাদপত্র সরকার ও জনগণের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভাষা আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ প্রতিটি পর্যায়ে সংবাদপত্রের অগ্রণী ভূমিকা বাংলাদেশের মুক্তি-সংগ্রামকে দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পৌঁছে দিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে।
সরকার অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতকল্পে সার্বিক সহযোগিতা করছে উল্লেখ করে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি গণমাধ্যমের মালিক, সংবাদকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। গণমাধ্যমগুলো দেশ ও জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে— এটাই সবার প্রত্যাশা।
বাংলা ট্রিবিউন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন পত্রিকাগুলোর মধ্যে অন্যতম বলেও বাণীতে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, গত এক দশক ধরে জাতীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, সমস্যা, সুযোগ-সম্ভাবনা ও জনমতকে সরকারের সামনে তুলে ধরতে পত্রিকাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করার পাশাপাশি বাংলা ট্রিবিউন দেশ ও জনগণের কল্যাণে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে, এটাই সবার প্রত্যাশা।
রাষ্ট্রপতি বাংলা ট্রিবিউনের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।