গত ৪ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে আহত হন প্রায় ৪০ জন। এর মধ্যে ৩৭ জনকে আনা হয় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৩১ জন, এক জন হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি চলে গেছেন। বাকি পাঁচ জন ইন্সটিটিউটের আইসিইউ-য়ে ( নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের পাঁচ জনের কেউ শঙ্কামুক্ত না বলে জানান ইন্সটিটিউটের সহকারী পরিচালক ডা. হোসাইন ইমাম।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জের তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজের সময় এ বিস্ফোরণ ঘটে। ফরজ নামাজের মোনাজাত শেষে অনেকে সুন্নাত ও অন্য নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জন মুসল্লি ছিলেন। বিস্ফোরণে তাদের প্রায় সবাই দগ্ধ হন। এদের ৩৭ জনকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়। শুরু থেকেই সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল বলে জানান চিকিৎসকরা।
আজ শুক্রবার ( ১১ আগস্ট) চিকিৎসাধীনদের বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. হোসাইন ইমাম বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ৩৭ জনের মধ্যে মাত্র একজনকে আমরা হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিতে পেরেছি। বাকি ৩৬ জনের মধ্যে ৩১ জন ইতোমধ্যে মারা গেছেন। আর পাঁচ জন আইসিইউতে আছেন। তাদের কেউ শঙ্কামুক্ত নন, সবার শ্বাসনালী পুড়ে গেছে।‘
ডা. হোসাইন ইমাম জানান, ৫০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া ৫৫ বছরের শেখ ফরিদ, ৩০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া ২৪ বছরের কেনান হোসেন বাপ্পী, ২৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়া ৩৯ বছরের আমজাদ, ২২ শতাংশ পুড়ে যাওয়া ১৮ বছরের সিফাত এবং ৪৭ শতাংশ পুড়ে যাওয়া নিয়ে ৪০ বছরের আব্দুল আজিজ আইসিইউতে রয়েছেন। আর এই পাঁচ জনের মধ্যে শেখ ফরিদ এবং আব্দুল আজিজের অবস্থা বেশি আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন-
মসজিদে বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯
মসজিদে বিস্ফোরণ: তিতাসের ৮ জন সাময়িক বরখাস্ত
পরিবার প্রতি ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চাইলেন মসজিদে নিহতদের স্বজনরা
নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ: গণশুনানি শুরু
মসজিদে বিস্ফোরণ: তিতাসের লাইনে মিলেছে লিকেজ
গ্যাস পাইপলাইনে ৬টি ছিদ্র, মসজিদ কমিটির ওপর দায় চাপালো তিতাসের তদন্ত কমিটি