এইচএসসি পরীক্ষা না হওয়ার সিদ্ধান্তে হতাশা বোধ করলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে এটিকেই যথাযথ সিদ্ধান্ত বলছেন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারা বলছেন, ‘পরীক্ষা দিয়ে একটা ফল পাওয়া আর না দিয়ে এ ধরনের মূল্যায়ন দুটো একেবারেই ভিন্ন অনুভূতি। দুবছর ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি, এখন এসে সেটার মূল্যায়ন হবে না ভাবতেও ভালো লাগছে না। কিন্তু এটাও ভাবতে হচ্ছে, এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি না। এখন সবার জীবন নিয়ে ভাবতে হবে আগে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিটা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’
আভেরি তানভীর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমাদের জন্য বিষয়টা শকিং। কিন্তু বিশ্বজুড়েই মহামারির কারণে পাবলিক পরীক্ষাগুলো হচ্ছে না। পরিস্থিতি বুঝে মন খারাপ দূর করার চেষ্টা করছি।’ উম্মে হানি মনে করেন, ‘এতে হতাশা বাড়বে ফলে পরিবারের সাপোর্ট দরকার হবে।’ তিনি বলেন, ‘খবরটা শুনে আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করছে লোকজন, অটোপাস বলছে। কিন্তু আমাদের ক্ষতি হয়ে গেলো সেটা বুঝতে চেষ্টা করছে না। এসএসসিতে খারাপ রেজাল্ট করলে এইচএসসিতে বেশি মনোযোগ দিয়ে ভালো করার চেষ্টা করেছে যারা তাদের দিকটা ভাবছে না।’
অভিভাবক রাজিয়া রহমান জলি মনে করেন, ‘সিদ্ধান্ত যাই হোক এতদিন ধরে নানা শঙ্কা নিয়ে ছেলেমেয়েরা দিন কাটাচ্ছিল। কী হবে না হবে সেটা যে জানা গেলো, এটাই অনেক।’
অভিভাবক কাকলী তানভীর মনে করেন, ‘এই পরিস্থিতিতে এরচেয়ে ভালো কিছু হতো না। এটা ঠিক যে, ছেলেমেয়েরা খেটেছে কিন্তু আশানুরূপ ফল হলো না। কিন্তু আমার সন্তান একা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা তো না। এতজন শিক্ষার্থী, তাদের এত অভিভাবক সামলে করোনা প্রতিরোধ করে পরীক্ষা নেওয়া সহজ হতো না, সে বাস্তবতা বুঝে অভিভাবকরা যেন সন্তানদের বোঝান।’
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না। এর পরিবর্তে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের গড়ের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। মূল্যায়নের পর ডিসেম্বরে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। বুধবার (৭ অক্টোবর) ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের গড়ের ভিত্তিতে এইচএসসির মূল্যায়নটা করবো। ডিসেম্বরে মূল্যায়নের ফল প্রকাশ করা হবে।’ শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘মূল্যায়ন হবে আন্তর্জাতিকমানের।’