বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড ইন্সপেকশন টিম ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) যৌথ অভিযানে ১৮ এপ্রিল থেকে ১৫ মে পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট থেকে বিপুল পরিমাণ অনুমোদনহীন জ্যামার, বুস্টার ও রিপিটারসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (১৯ মে) বিটিআরসি থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ১৮ এপ্রিলে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে বিটিআরসি এবং র্যাব ১০-এর সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে সংশ্লিষ্ট দোকান থেকে ৮টি জ্যামার, ৩০টি বুস্টার এবং ১টি রিপিটার জব্দ করা হয়। এসব অবৈধ টেলিযোগাযোগ সামগ্রী বিক্রির অপরাধে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজধানীর পল্টন এবং তেজগাঁও থানায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ অনুযায়ী পৃথক ২টি মামলা করা হয়েছে।
এছাড়া গত ১৫ মে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ফেসবুকের মাধ্যমে অবৈধ জ্যামার, বুস্টার ও রিপিটার বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে বিটিআরসি ও র্যাব ৩-এর সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ওই অভিযানে ৪টি জ্যামার, ৩টি বুস্টার, ২৪টি জ্যামার অ্যান্টেনা, ৯টি পাওয়ার ক্যাবল বুস্টারের আউটডোর অ্যান্টেনা, ২৬টি বুস্টারের ইনডোর অ্যান্টেনা এন্টিনা, ৩৭টি বুস্টারের ক্যাবল, ১০টি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়। এসময় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১-এর বিধান অনুযায়ী মামলাও হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বিটিআরসি’র পরিদর্শকদল অনলাইন মার্কেট প্লেস দারাজ, বিডিস্টল, ক্লিক বিডির অফিস সরেজমিনে পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সব অবৈধ জ্যামার, বুস্টার, রিপিটার ও বিটিআরসির অনুমোদনহীন বেতার-যন্ত্র বিক্রয়কারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ব্লক করে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন অপসারণ করা হয়েছে।
বিটিআরসি বলছে, সম্প্রতি কমিশন দেখেছে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে জ্যামার স্থাপন করা হয়েছে। যার কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের আশেপাশের স্কুল, হাসপাতাল ও অন্যান্য জরুরি সেবা কেন্দ্রের মোবাইল নেটওয়ার্ক বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।
এভাবে জ্যামার ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেছে বিটিআরসি।