সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন ও আদালতের ক্রোক করা সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক বুঝে নিয়েছে রিসিভার। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, সোমবার (১০ জুন) তারা সেই পার্কে গিয়ে ক্রোক সংক্রান্ত নোটিশও টানিয়ে দেওয়া হয়। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে দুদক কর্মকর্তারা ছাড়াও জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা গিয়ে সেই রিসোর্ট বুঝে নেন।
দুদকের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান জানান, সোমবার (১০ জুন) বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে তারা সেখানে যান এবং রিসোর্টটির ভেতরের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফারহানা জাহান উপমা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহসিন উদ্দীনসহ কৃষি ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা ছাড়াও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার দুপুরে সাভানা রিসোর্ট পরিদর্শন ও বুঝে নেওয়ার সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘পার্কটি আপাতত বন্ধ রয়েছে। তবে খুব শিগগিরই আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে রিসোর্ট ও পার্কের কার্যক্রম চালু করা হবে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা স্থাবর সম্পত্তির দেখভালের জন্য ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত রিসিভার নিয়োগের আদেশ দেন। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা অনুযায়ী এই রিসিভার নিয়োগ করা হয়। গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় অবস্থিত স্থাবর সম্পত্তির সঠিক নিয়ন্ত্রণ, ব্যবস্থাপনা, তদারকি এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রিসিভার নিয়োগ করে আদেশ দেন আদালত।
দুদিন আগেই আদালতের নির্দেশনার পরও পার্কের পুকুর থেকে চুরি করে মাছ বিক্রির অভিযোগে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গোপালগঞ্জের দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সোহরাব হোসেন সোহেল বাদী হয়ে শুক্রবার (৭ জুন) রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় রিসোর্টের হ্যাচারি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।