বিএনপির কার্যালয় থেকে অস্ত্র ও ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতর ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণসহ ৭ জনের দুই দিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৭ জুলাই) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালত এই আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন— ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নজরুল ইসলাম, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. ইমাম হোসেন, বিএনপি কর্মী মো. শাহাদাত হোসেন, মো. টেনু, মো. মনির হোসেন ও বরকত হাওলাদার।
এর আগে আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. কবির হোসেন হাওলাদার। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেক আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে দুই দিনের রিমান্ডে আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঢাকা মহানগর এলাকায় নাশকতা ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটিয়ে সরকারকে বিপাকে ফেলাসহ দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে বিএনপির নেতারা ও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নয়াপল্টনে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় ৫৫টি ককটেল বিএনপির দফতর সম্পাদক রুহুল কবির রিজভীর খাটের তোষকের নিচ থেকে দুইটি পাইপগান, পুরান তিনটি ওয়ান সুটারগান, একটি পিস্তল ও ২১০টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই ঘটনায় পল্টন থানায় ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় ১৮৭৮ সালের আর্মস অ্যাক্ট ও ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।