সব ধর্মের সহাবস্থানের জন্য ‘ইসলামি সেক্যুলারিজম’ বা ইসলামি নিরপেক্ষতাবাদ প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে ‘জাগ্রত জনশক্তি’ নামে একটি সংগঠন।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে শাহবাগ জাদুঘরের সামনে মাজার ও মন্দির ভাঙার প্রতিবাদে এক শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বক্তারা সাম্প্রদায়িক হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
জাগ্রত জনশক্তির আহ্বায়ক সুদীপ্ত সাইদ খান তার বক্তব্যে বলেন, দেশের কিছু মানুষ ধর্মের নামে দেশকে উচ্ছৃঙ্খল করার চেষ্টা করছে। ধর্মের অপব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে ভিন্নমত দমনের চেষ্টা করছে। এসব বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইসলামের নানা রূপ ও মতাদর্শ আছে। সব মতাদর্শের সহাবস্থান বজায় রাখার জন্য ‘সেক্যুলার ইসলাম বা ‘ইসলামি নিরপেক্ষতাবাদ’ প্রতিষ্ঠা ও পরমতসহিষ্ণু মতাদর্শের প্রচার করতে হবে। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রকে সহিংসতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
সাংবাদিক মাকসুদুল হক ইমু বলেন, বর্তমানে যারা সহিংসতা করছে তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। যারা হিন্দুদের উপাসনালয় মন্দিরে হামলা চালিয়েছে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সুযোগসন্ধানীরা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
চলচ্চিত্রকর্মী সিএফ জামান বলেন, এই মাজার এবং মন্দির এ দেশের হাজার বছরের সংস্কৃতি। এ দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সেই শুরু থেকেই বসবাস করছেন। এই পীর ও আউলিয়াদের মাধ্যমেই এ দেশে ইসলাম প্রচার হয়েছে। এসব স্থাপনায় আক্রমণ মানে আমাদের হাজার বছরের সংস্কৃতির ওপর হামলা। আমরা সব ধর্মের সহাবস্থানে বিশ্বাস করি এবং এসব হামলার নিন্দা জানাই।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সুলতানশি দরবার শরিফের পীরজাদা সৈয়দ মুহাম্মদ আবু খায়ের, চলচ্চিত্র নির্মাতা মাহমুদ দিদার, সাংবাদিক ইসমাইল সিরাজী, অভিনেতা অরণ্য বিজয়, লেখক তানভীর আহমেদ সৃজন প্রমুখ।