চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে ১২ জন জেলে ১৭ মার্চ (সোমবার) মাছ ধরার ফিশিং ট্রলার নিয়ে সাগরে গিয়েছিলেন। পরেরদিন রাতে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ৫ দিন ধরে সাগরে ভাসছিলেন তারা। এসময় মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় কারও সাহায্য চাইতে পারেনি।
পরে গত ২৩ মার্চ রাতে মোবাইল নেটওয়ার্কের পান তারা, এরপর জরুরি সেবা ৯৯৯ কল করে উদ্ধারের অনুরোধ জানান মো. হাসান নামে একজন জেলে।
কল রিসিভ করেছিলেন ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল লিটন মিয়া। কনস্টেবল লিটন কক্সবাজার কোস্টগার্ড নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, মহেশখালী থানা ও মহেশখালী নৌ-পুলিশকে বিষয়টি দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানায়। পরবর্তী সময়ে কলার ও উদ্ধার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন ৯৯৯ ডিসপাচার এএসআই লোকমান হোসেন এবং এএসআই সিরাজুল ইসলাম।
কলার সাগরে তাদের সঠিক অবস্থান বলতে না পারায় উদ্ধার তৎপরতায় কিছুটা বিলম্ব হলেও অবস্থান সনাক্ত করে কক্সবাজার কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারী দল উপকূল থেকে প্রায় ৩৫ নটিক্যাল মাইল দূরত্বে বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়ার পেট থেকে ২৪ মার্চ সকালে ১২ জন জেলেসহ ট্রলারটি উদ্ধার করে নিরাপদে উপকূলে পৌঁছে দেয়।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।