টোল উত্তোলনকে কেন্দ্র করে পূর্ববিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয় ইমরান হাওলাদারকে (৩২)। সিআইডির অপরাধ তদন্তে ব্যবহৃত ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে দীর্ঘদিন অজ্ঞাত থাকা এক খুনির পরিচয় শনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করেছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অভিযুক্তের নাম মো. সেলিম মাদবর ওরফে রফিক (৪৯)। গত ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে ঢাকা ডেমরা থানাধীন সারুলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিআইডির এলআইসি শাখার একটি টিম।
সিআইডি জানায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে আটটার দিকে ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভাধীন নান্দিকাঠি গ্রামে লাইফকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাছাকাছি স্থানে ইমরান হাওলাদারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তার লাশ পাশের একটি কচুরিপানায় ভরা ডোবায় ফেলে দেয় খুনিরা। এই হামলায় গুরুতর আহত হন ইমরানের স্ত্রী ফাহিমা বেগম।
পরদিন নিহত ইমরানের বাবা আব্দুর রশিদ হাওলাদার নলছিটি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এজাহারে ২ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৮-১০ জন অজ্ঞাত আসামির কথা বলা হয়। ঘটনার পরপরই সিআইডির ক্রাইমসিন টিম ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে। সেসব আলামত সিআইডি সদর দফতরের ডিএনএ ল্যাবে বিশ্লেষণ করা হলে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির ডিএনএ পাওয়া যায়। ডিএনএ প্রোফাইল ম্যাচিংয়ের মাধ্যমে সেই অজ্ঞাত ব্যক্তির নাম শনাক্ত হয়। এরপর ডেমরার সারুলিয়া থেকে অভিযুক্ত মো. সেলিম মাদবর ওরফে রফিককে গ্রেফতার করা হয়।
সিআইডি আরও জানায়, নথিপত্র অনুযায়ী সেলিম মাদবরের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় দুটি ডাকাতি মামলা রয়েছে। এছাড়া বাড্ডা থানায় একটি মামলার চার্জশিট দাখিল হয়েছে।
মামলার ১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি আল-আমিন হাওলাদার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তার ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়। পরে সেটি ঘটনাস্থলের আলামতের সঙ্গে মেলানো হলে তার সঙ্গেও মিল পাওয়া যায়।
গ্রেফতার সেলিম মাদবরকে তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান।