দেশের প্রধান নৌবন্দর সদরঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিপুল সংখ্যক ঘরমুখো মানুষ রাজধানী ঢাকা ছাড়ছে। বিভিন্ন রুটের লঞ্চে যাত্রীর চাপ সবচেয়ে বেশি ছিল শুক্রবার (৮ জুলাই)। শনিবার যাত্রীর চাপ কিছুটা কম থাকলেও সংখ্যাটা কম নয়। যদিও পদ্মা সেতু চালু হওয়া অন্যান্য বারের চেয়ে এবার লঞ্চ যাত্রী তুলনামূলক কমে গেছে।
শনিবার (৯ জুলাই) বিকালে সদরঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-বরিশাল, ঢাকা-ঝালকাঠি, ঢাকা-ভান্ডারিয়া, ঢাকা-বরগুনা, ঢাকা-ভোলা, ঢাকা-পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন নৌরুটে যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। তবে তা আগের যেকোনও ঈদের সময়ের চেয়ে অনেকটাই কম।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগে ঈদের সময় লঞ্চে উঠতে রীতিমতো লড়াই করতে হতো। লঞ্চেও অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় বসার জায়গা পাওয়া কঠিন ছিল। এবার তেমনটি ঘটছে না। স্বস্তিতে যেতে পারছেন যাত্রীরা। কেবিন পাওয়া এবং ভাড়ার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন এসেছে।
লঞ্চঘাটে স্থাপিত টিকিট কাউন্টারগুলোর অন্তত পাঁচ জন কর্মচারী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এই ঈদে সবচেয়ে বেশি ঘাট-টিকিট বিক্রি হয়েছে গতকাল। আজও তার চেয়ে কিছুটা কম বিক্রি হচ্ছে।
পারাবাত, সুরভী, সুন্দরবন ও এমভি ফারহান কোম্পানির একাধিক কেবিন-বয় ও কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডেকে ও কেবিনে যাত্রীর চাপ রয়েছে আজও। তবে তা গতকালের চেয়ে কম। গে ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া অভিযোগ বেশি মিললেও এবার সেটি কমেছে।
জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালুর পর প্রায় সকল লঞ্চের ভাড়া কমানো হয়। ডেকের ভাড়া ১০০-১৫০ টাকা এবং সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া ৪০০-৬০০ টাকা এবং ডাবল কেবিনের ভাড়া ৬০০-৮০০ টাকা কম নেওয়া হয়েছে। এখন ঈদের সময় যাত্রীর চাপ বাড়ায় ফের পুর্বনির্ধারিত ভাড়ায় ফিরে গেছে লঞ্চগুলো।
কেবিনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকজন যাত্রী। তাদের একজন বিল্লাল হোসেন বলেন, ঢাকা-রুটে ১৬০০ টাকার সিঙ্গেল কেবিন তার কাছ থেকে নিয়েছে ২ হাজার টাকা। অন্যেরাও বিভিন্ন অঙ্কের অতিরিক্ত কেবিন ভাড়া নেওয়ার তথ্য দিয়েছেন।
তবে মালিক পক্ষ এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, লঞ্চের যাত্রী আগের কম হওয়ায় বেশি ভাড়া নেওয়ার সুযোগ নেই। একই ধরনের দাবি করেছে বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতিও। সংঠনটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর লঞ্চের যাত্রী আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে। তবে আমরা আশা করছি, ধীরে ধীরে যাত্রী আবার বাড়বে।