আজ ২৬ আগস্ট, ফুলবাড়ী গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের স্মরণ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ২০০৬ সালের এই দিনে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে এলাকা, জমি, জেলা, জনপদ ও জাতীয় সম্পদ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার দাবিতে জনগণের আন্দোলন হয়। ওই দিন সরকারি সশস্ত্র বাহিনীর গুলিতে নিহত হন- আমিন, সালেকিন ও তরিকুল। গুরুতর জখম হন- বাবলু, প্রদীপ ও শ্রীমন। এছাড়া দুই শতাধিক মানুষ আহত হন।
সোমবার (২৬ আগস্ট) দিবসটিকে স্মরণ করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- সিপিবি, বাসদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল। এছাড়া কোনও কোনও নেতা নিহতদের স্মরণ করে লিখেছেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি।
শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকসহ পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির নেতাকর্মীরা।
পরে দুপুরে সেগুনবাগিচায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত ফুলবাড়ী দিবসের আলোচনা সভায় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফুলবাড়ীর অভ্যুত্থান ছিল দেশের কয়লা সম্পদসহ জাতীয় সম্পদ রক্ষার; আর ২০২৪ এ ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান জনগণের অধিকার আর মুক্তি অর্জনের।
তিনি বলেন, বিপ্লবের পর যেমন প্রতিবিপ্লবের আশংকা থাকে, তেমনি গণঅভ্যুত্থানের পরও তাকে নস্যাৎ করার অপচেষ্টা থাকে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর পরাজিত প্রতিক্রিয়াশীল ফ্যাসিবাদী শক্তিও ফিরে আসতে নানাভাবে তৎপর রয়েছে।
এদিন সকালে ফুলবাড়ী গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণে অংশগ্রহণ করেন কাইয়ুম হোসেন, মো. বোরহান ও অনন্ত সরকার।
এ সময় ফয়জুল হাকিম বলেন, এশিয়া এনার্জির উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের বিরুদ্ধে সংঘটিত এই গণঅভ্যুত্থান দেশের জাতীয় সম্পদ রক্ষার সংগ্রামে প্রেরণা যুগিয়ে যাবে।
দিবসটি নিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, মহান ফুলবাড়ী দিবস অমর হোক! শহীদদের রক্তে লেখা ফুলবাড়ী চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন চাই। এদেশে গণমানুষের নিজস্ব রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে দল গঠনের প্রস্তুতি পর্ব শুরুর সময় থেকে জ্বালানি খাতে লুটপাটের বিরুদ্ধে আমরা সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে লড়ছি। ২০০৬ সালে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লাখনি প্রতিরোধ সেই লড়াইয়ের সফলতম অংশ।